নয়া দিল্লি: ফের রাজধানীর বুকে ধর্ষণের (Physical Assault) শিকার নাবালিকা। পাড়ার লঙ্গরখানায় খেতে গিয়েই এক ব্যক্তির লালসার শিকার হল ৬ বছরের নাবালিকা। বর্তমানে ওই নাবালিকা দিল্লির (delhi) একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে, অন্যদিকে সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) দেখে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
শনিবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, দিল্লির রনজিৎ নগর এলাকায় এক ছয় বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে নির্যাতিতাকে চিকিৎসার জন্য রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে পাড়ার একটি লঙ্গরখানায় খেতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। বাবা দিনমজুর হওয়ায় পরিবারে অনটন লেগেই থাকে। সেই কারণেই প্রায় সময় লঙ্গরে গিয়ে খাবার খেত তারা। শুক্রবার সকালে ওই নাবালিকা একাই যায় লঙ্গরে। কিন্তু বেশ অনেকক্ষণ বাদে সে যখন বাড়ি ফেরে, তখন পরিবারের সদস্যরা দেখেন পা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।
প্রথমে তারা ভেবেছিলেন খেলাধুলো করতে গিয়েই হয়তো কোনওভাবে চোট পেয়েছে ওই নাবালিকা, কিন্তু মেয়ের চুপচাপ হয়ে যাওয়া ও ক্ষতস্থান পরিস্কার করতে গিয়েই গোটা ঘটনাটি তাদের কাছে স্পষ্ট হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শারীরিক পরীক্ষা করার পর জানান যে, ওই ছয় বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
হাসপাতালের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই ঘটনাস্থানে যান। ওই এলাকায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে পুলিশ দেখতে পায়, বাজার থেকে এক ব্যক্তিকে অনুসরণ করে যাচ্ছিল ওই নাবালিকা। ফুটেজে দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনও রকম প্রলোভন দেখিয়েই অভিযুক্ত ওই নাবালিকাকে আশেপাশের কোনও জায়গায় নিয়ে যায় এবং সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে।
পকসো আইন সহ একাধিক ধারায় পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তকে এখনও শনাক্ত না করা গেলেও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁর চেহারা ও অবয়ব অনুসরণ করেই তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিকে, দিল্লি মহিলা কমিশনের তরফেও একটি নোটিশ দিয়ে পুলিশকে এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিন মাস আগেই পুরনো দিল্লিতে দলিত পরিবারের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের কাছেই একটি শ্মশানের পাশে থাকত ওই দলিত পরিবারটি। নয় বছরের ওই নাবালিকা শ্মশান লাগোয়া একটি ঠাণ্ডা পানীয় জলের জায়গা থেকে জল আনতে গিয়েছিল। সে অনেকক্ষণ না ফেরায় মায়ের সন্দেহ হয়। এরই মধ্যে বাড়িতে খবর আসে ওই নাবালিকা বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। শ্মশানে গিয়ে দেখা যায়, নাবালিকার হাতে পোড়া দাগ আর ঠোঁট নীল হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, শ্মশানের প্রধান পুরোহিত রাধেশ্যাম তখন এক প্রকার জোর করেই দেহ সৎকার করানোর ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনায় পুরোহিত সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপরও একাধিক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতেই রাজধানীতে মহিলা ও শিশু সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।