বেঙ্গালুরু: কোভিড কাঁটা কাটিয়ে স্কুল খুলেছিল। কিন্তু ফের সংক্রমণ বাড়তেই বন্ধ করে দেওয়া হল স্কুল। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের রাজধানী শহর বেঙ্গালুরুতে। যেখানে একটি আবাসিক স্কুল কোভিডের ক্লাস্টার হিসেবে ধরা দিয়েছে। সূত্রের খবর, স্কুল খোলার পরই সেখানকার ৫০০ জন পড়ুয়াদের মধ্যে ৬০ জনই করোনায় আক্রান্ত হয়। এই ঘটনার পর আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ওই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
যদিও স্বস্তির খবর এটাই যে কোনও পড়ুয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়নি। তবে ৬০ জন আক্রান্তের মধ্যে ২ জনের উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি সকলেই উপসর্গহীন। যে দুজনের কোভিডের উপসর্গ রয়েছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি উপসর্গহীন পড়ুয়াদের জন্য কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করে তাদের আলাদাভাবে রাখা হয়েছে। বাকি যে পড়ুয়ারা সুস্থ রয়েছে, তাদের হস্টেলেই রাখা হয়েছে বলে খবর।
এই ঘটনায় ব্যাপক উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়ে অভিভাবকদের মধ্যে। তাঁরা ফোন করে বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকেন যে পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরে আসতে পারবে নাকি। যদিও জেলাশাসক তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, দুশ্চিন্তার কোনও কারণই নেই। কেননা কারোর শারীরিক পরিস্থিতিই উদ্বেগজনক নয়। তবে পড়ুয়াদের শরীরের দিকে সর্বোচ্চ নজর রাখা হচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জেলাশাসকের কথায়, “স্কুলের হস্টেলে পড়ুয়ারা এক মাসের বেশি সময় ধরে আছে। যখন সবাই এসেছিল, কারোর কোনও উপসর্গ ছিল না। যে ৬০ জন পজিটিভ ধরাও পড়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র ২ জনের উগসর্গ রয়েছে। সেটাও খুব গুরুতর নয়। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সারা আছে। আমরা প্রত্যেকের টেস্ট করিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকেও একটি চিকিৎসক দল সর্বক্ষণের জন্য কোয়ারেন্টাই সেন্টারে মোতায়েন করে রাখা হচ্ছে। তাই চিন্তার কোনও কারণই নেই।”
শুধুমাত্র বাকি পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই যে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটাও স্পষ্ট করে দেন জেলাশাসক মঞ্জুনাথন। তিনি জানিয়েছেন, সপ্তম দিনে পুনরায় সকলের কোভিড পরীক্ষা করে দেখা হবে। সব ঠিক থাকলে ২০ অক্টোবর ফের স্কুল খুলে দেওয়া সম্ভব। তবে অনেক বাবা-মা প্রশাসনের আশ্বাসে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। তাই কেউ কেউ নিজের সন্তানকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই এক পড়ুয়ার ডায়ারিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। কোভিড পরীক্ষা করা হলে ফলাফল আসে পজিটিভ। এরপরই গোটা স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের পরীক্ষা করা হয়। এতেই ৬০ জন পজিটিভ বলে ধরা পড়ে। সম্প্রতি কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার ও অফলাইন ক্লাস শুরুর অনুমতি দিয়ে দিয়েছিল কর্নাটক সরকার। কিন্তু এই ঘটনার পর দুশ্চিন্তা বাড়ল বই কমল না।
আরও পড়ুন: Amarinder Singh Meets Amit Shah: এবার বিজেপিতে ক্যাপ্টেন? জল্পনা বাড়িয়ে শাহি সাক্ষাতে অমরিন্দর