হোটেলের বন্ধ ঘরে ২০ বছরের ছোট মহিলা আর মদ, রমণের মাঝেই জীবনে পড়ল পূর্ণচ্ছেদ
61-year-old dies during intercourse: মুম্বইয়ের কুরলার এক হোটেলে যৌন মিলনের মাঝে আচমকা মৃত্যু হল এক ৬১ বছর বয়সী ব্যক্তির।
মুম্বই: বয়সে ২০ বছরের ছোট এক মহিলাকে নিয়ে হোটেলের ঘরে সময় কাটাতে চেয়েছিলেন তিনি। বন্ধ ঘরে চলছিল উদ্দাম রতিক্রিয়া, সঙ্গে একটু একটু করে মদ্যপান। সব কিছুই ছিল একেবারে পরিকল্পনামাফিক। কিন্তু, হঠাৎই মহিলা দেখেন তাঁর পুরুষ সঙ্গীটি আর নড়াচড়া করছেন না, ডাকলেও মিলছে না সাড়া। মুম্বইয়ের এক হোটেলে যৌন মিলনের সময়ই আচমকা মৃত্যু হল এক ৬১ বছর বয়সী ব্যক্তির। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের শহরতলি কুরলায়।
এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ কুরলার ওই হোটেলে এসে উঠেছিলেন মৃত ব্যক্তি। সঙ্গে ছিল ৪০ বছর বয়সী এক মহিলা। তাঁকে, তিনি তাঁর প্রেমিকা বলে দাবি করেছিলেন। তবে, এর কিছুক্ষণ পরই, ওই মহিলা ফোন করেছিলেন হোটেলের রিসেপশনে। তিনি জানান, তাঁর পুরুষ সঙ্গীটি অচেতন হয়ে পড়েছেন। অনেক ডাকাডাকি করেও তাঁর কোনও সাড়া মিলছে না।
অনতিবিলম্বে অচেতন অবস্থায় ওই প্রৌঢ়কে সায়ন পৌরসভার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন হোটেলের কর্মীরা। তবে ওই প্রৌঢ়কে ভর্তি করেনি হাসপাতাল। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। আগেই হোটেলের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় থানায়। হাসপাতালের পক্ষ থেকেও পুলিশকে এই বিষয়ে অবহিত করা হয়। পুলিশ এসে দেহটি পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
পরে ওই মহিলাকে কুরলা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশকে তিনি বলেছেন, ওই প্রৌঢ় ব্যক্তি ওরলির বাসিন্দা। তিনি একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতেন। ওই মহিলা আরও জানান, সহবাসের সময় আচমকা মৃত ব্যক্তি অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। তারপরই, তিনি নেতিয়ে পড়েন । সহবাস চলাকালীন তিনি একটানা মদ্যপান করছিলেন বলেও দাবি করেছেন ওই মহিলা। তিনি বলেছেন, মদ্যপান করতে করতেই তিনি সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন। তারপরই তিনি খবর দিয়েছিলেন হোটেলে। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
কুরলা থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর রিপোর্ট নথিভুক্ত করেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তাদের অনুমান, সহবাসের আগে সম্ভবত তিনি কোনও যৌনতাবর্ধক ওষুধ খেয়েছিলেন। মেডিকেল রিপোর্ট এলে, তবেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে। তাই, এখন পুলিশ মেডিকাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।