গান্ধীনগর : প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে গুজরাট। রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে বেড়েছে বেশ কয়েকটি নদীর জলস্তর। বাঁধ উপচে পড়ছে। মুষলধারে বৃষ্টির কারণে প্লাবিত হয়েছে একাধিক এলাকা। সোমবার জানা গিয়েছে, এদিন ভারী বৃষ্টির কারণে গুজরাটে মারা গিয়েছেন মোট ৬ জন। গত মাস থেকে এখনও পর্যন্ত এই কারণে মোট ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এখনই রেহাই মিলছে না এই পরিস্থিতি থেকে। হাওয়া অফিসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী পাঁচদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি জারি থাকবে। আজ এবং পরবর্তী পাঁচদিনের জন্য গুজরাটের বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস। সোমবার থেকে কয়েকদিনের জন্য আহমেদাবাদের সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে ভূপেন পটেলকে ফোন করে সেখানকার পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী বলেছেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিজনিত কারণে ৭ জন মারা গিয়েছেন। বাজ পড়ে, জলে ভেসে গিয়ে বা দেওয়াল ধসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে। ১ জুন থেকে এইসব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, ৯ হাজার মানুষকে এখনও পর্যন্ত স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ৪৬৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দক্ষিণ গুজরাটের ডাং, নভসারি, তাপি ও ভালসাদ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। মধ্য গুজরাটের পঞ্চমহল, ছোটা উদেপুর ও খেড়া বৃষ্টির কবলে পড়েছে। পালদি ও ভালসানায় একদিনে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৪১.৩ মিলিমিটার। এদিকে কেন্দ্র থেকে সবরকম সাহায্য়ের আশ্বাস দিয়েছেন মোদী-শাহ। অমিত শাহ জানিয়েছেন, উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)-র ১৮ টি করে প্ল্য়াটুনস মোতায়েন রয়েছে। ভালসাদ জেলায় আটকে পড়া ১৬ জন নাগরিককে উদ্ধার করে নিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী (ICG)। এদিনে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচলও। পশ্চিমের রেলওয়ের আধিকারিক জানিয়েছেন, চান্দোগদ ও একতা নগর সেকশনে রেলওয়ে ট্র্যাক ডুবে গিয়েছে। ফলে চারটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও একটি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।