প্রয়াগরাজ: দৈত্যের মতো শরীর। সাত ফুট লম্বা। ধবধবে সাদা গায়ের রঙ। পরনে গেরুয়া বস্ত্র। হাতে বাঁধা রুদ্রাক্ষের মালা। আপাতত সুন্দরী সাধ্বীদের টেক্কা দিয়ে মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের মন কেড়েছেন এই বাবা। অনেকেই তাঁকে আবার এ যুগের ‘পরশুরামের’ তকমাও দিয়েছেন।
নাম প্রেম গিরি মহারাজ। এসেছেন রাশিয়া থেকে। সেদেশে থাকতে সাদামাটাই জীবন ছিল তাঁর। কাজ করতেন শিক্ষকতার। কিন্তু পরবর্তীতে সেই কাজ থেকেও মন উঠে যায় তাঁর। এক সিদ্ধান্তে ছাড়েন চাকরি। শান্তির খোঁজে বেরিয়ে পড়েন ঘর ছেড়ে।
সংস্পর্শে আসেন হিন্দু ধর্মের। নিয়ে নেন সন্ন্যাস জীবন। প্রথমজীবনে থাকতে শুরু করেন নেপালে। সেখানে থাকতেই গোটা দিন কাটাতেন ধ্যানমগ্ন হয়ে। পরবর্তীতে জুনা আখড়ার সদস্য হন তিনি। ইতিমধ্য়েই সোশ্য়াল মিডিয়া জুড়েও বেশ ভাইরাল হয়েছেন এই রাশিয়ান সাধুবাবা।
তবে প্রেম গিরি মহারাজ একা নন। তার মতোই একাধিক বিদেশি সাধু নজর কেড়েছেন আগত পুণ্যার্থীদের। আর সেই তালিকায় কিন্তু অন্যতম বৈশ্যানন্দ গিরি। মহাকুম্ভে এসে তিনি স্থান পেয়েছেন নিরঞ্জনী আখড়াতে। পেয়েছেন আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদও। থাকতেন আমেরিকায়। বাবা ছিলেন মার্কিন সেনা। নিজেও কাজ করেছেন কিছু ছোট-বড় টেক সংস্থার সঙ্গে। টম নামেই ছিল তখন পরিচিতি।
উল্লেখ্য, গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর ত্রিবেণী মহাসঙ্গমে এখন উৎসবের আমেজ। সেজে উঠে এসেছে প্রয়াগরাজ। আর সেই সূত্র ধরেই সেখানে ভিড় জমিয়েছে কোটি কোটি পুণ্যার্থী। ১৩ই জানুয়ারি থেকে আগামী মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে মহাকুম্ভ। এই এক মাস ব্যাপী উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারেন প্রায় ৪৫ কোটি পুণ্যার্থী, এমনটাই অনুমান উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের।