ভোপাল: বান্ধবগড়ে একের পর এক হাতির রহস্যমৃত্যু। বুধবারও মিলল আরও একটি হাতির মৃতদেহ। এর আগে মঙ্গলবার সাতটি হাতির দেহ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে মৃত হাতির সংখ্যা ৮-এ পৌঁছল। মধ্য প্রদেশের বিখ্য়াত টাইগার রিজার্ভে এভাবে একের পর এক হাতির দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
মঙ্গলবার বান্ধবগড়ের জঙ্গল থেকে যে সাতটি হাতির দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তারা সকলেই কুনকি হাতি (স্ত্রী হাতি)। সবকটি হাতিরই বয়স তিন বছরের মধ্যে ছিল। বুধবার এরটি চার-পাঁচ বছরের পুরুষ হাতির দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরও একটি হাতিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই জানিয়েছেন বনকর্মীরা।
বন আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাতির পালে মোট ১৩টি হাতি ছিল। এর মধ্যে ৮টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় দুটি হাতিকে উদ্ধার করা হলেও, তাদের মধ্যে একজন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। বাকি তিনটি হাতিকেও কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তীব্র বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্য়ু হয়েছে হাতিগুলির। ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথারিটির তরফে তিন সদস্যের টিম তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রিন্সিপাল চিফ কনসারভেটর অব ফরেস্টের অধীনে পাঁচ সদস্যের আলাদা একটি টিমও তদন্ত শুরু করেছে। ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবেন তারা।
যেখান থেকে হাতিগুলির দেহ উদ্ধার হয়েছিল, বন আধিকারিকরা তার আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একাধিক খামার ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ৫ জনকে।
হাতিগুলি কোদো মিলেটের বীজ খেয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বীজে যদি ছত্রাক সংক্রমণ হয়, তবে তা মারাত্মক বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। ইতিমধ্যেই হাতির মল, মাটি ও কিছু গাছের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।