Domestic Violence: গার্হস্থ্য হিংসার পক্ষে সাফাই দিচ্ছেন মহিলাদেরই এক বড় অংশ

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 28, 2021 | 6:54 PM

Women backing Men beating wives: সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, একজন স্বামী কি তার স্ত্রীকে মারধর করতে পারেন? সেখানে ১৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের মধ্যে ৩০ শতাংশেরও বেশি বলেছেন, "হ্যাঁ"৷

Domestic Violence: গার্হস্থ্য হিংসার পক্ষে সাফাই দিচ্ছেন মহিলাদেরই এক বড় অংশ
গার্হস্থ্য হিংসায় মান্যতা দিচ্ছেন মহিলাদেরই এক বড় অংশ (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

নয়াদিল্লি: ১৮ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে ১৪টি থেকে ৩০ শতাংশেরও বেশি মহিলা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পুরুষরা তাদের স্ত্রীকে মারধর করতে পারেন। সম্প্রতি জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা (NHFS)থেকে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। তবে সমীক্ষা অনুসারে তুলনামূলকভাবে অনেক কম পুরুষই এই ধরনের গার্হস্থ্য হিংসাকে মান্যতা দিয়েছেন। সমীক্ষা অনুসারে, তিনটি রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলারা জানিয়েছেন, পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের মারধর করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে – তেলাঙ্গানা (৮৪ শতাংশ), অন্ধ্র প্রদেশ (৮৪ শতাংশ) এবং কর্ণাটক (৭৭ শতাংশ)।

এর পাশাপাশি মণিপুর (৬৬ শতাংশ), কেরল (৫২ শতাংশ), জম্মু ও কাশ্মীর (৪৯ শতাংশ), মহারাষ্ট্র (৪৪ শতাংশ) এবং পশ্চিমবঙ্গ (৪২ শতাংশ) সহ অন্যান্য বেশ কিছু রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও বিপুল সংখ্যক নারী জানিয়েছেন, পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের মারধর করতে পারেন। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, একজন স্বামী কি তার স্ত্রীকে মারধর করতে পারেন? সেখানে ১৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের মধ্যে ৩০ শতাংশেরও বেশি বলেছেন, “হ্যাঁ”৷

সমীক্ষায় মারধর করার মতো বেশ কিছু সম্ভব্য পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হয়েছিল। যেখানে কী কী পরিস্থিতিতে স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীকে মারধর করতে পারেন, তা বলা হয়েছিল। যেমন – যদি সে তাকে অবিশ্বস্ত বলে সন্দেহ করে; যদি সে শ্বশুরবাড়িকে অসম্মান করে; যদি সে তার সঙ্গে তর্ক করে; যদি সে তার সাথে সহবাস করতে অস্বীকার করে; যদি সে তাকে না জানিয়ে বাইরে যায়; যদি সে ঘর বা বাচ্চাদের অবহেলা করে; যদি সে ভাল খাবার না রান্না করে।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা মারধরের জন্য সবচেয়ে সাধারণ কারণ হিসেবে মনে করছেন, ঘর বা বাচ্চাদের অবহেলা করা এবং শ্বশুরবাড়ির প্রতি অসম্মান দেখানোর জন্য স্ত্রীকে মারধর করা হয়। ১৮টি রাজ্যের মধ্যে হিমাচল প্রদেশ, কেরল, মণিপুর, গুজরাট, নাগাল্যান্ড, গোয়া, বিহার, কর্ণাটক, অসম, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, নাগাল্যান্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ – এই ১৩ রাজ্যের মহিলারা “শ্বশুরবাড়ির প্রতি অসম্মান”-এর কথা উল্লেখ করেছেন মারধরকে ন্যায্যতা দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে।

উল্লেখ্য, স্ত্রীদের মারধর করতে পারেন স্বামীরা, এমন তত্ত্বকে সবথেকে কম মান্যতা দিয়েছে হিমাচল প্রদেশের মহিলারা (১৪.৮ শতাংশ)।

হায়দরাবাদের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “রোশনি”-র ডিরেক্টর উষাশ্রী জানিয়েছেন, তার সংস্থা করোনার সময় যৌন নির্যাতন এবং গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা বাড়তে দেখেছে।  তাঁর সংস্থা মানসিক কষ্টে থাকা মানুষদের কাউন্সেলিং এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করে। তিনি জানিয়েছেন, “কিছু পুরুষ তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর অতিমারি পরিস্থিতির কারণে আয় কমে যাওয়া এবং অন্যান্য কারণে তাদের হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়।”

আরও পড়ুন : Bihar: এক দিনের মধ্যে নাবালিকা নির্যাতনে শুনানি থেকে দোষী সাব্যস্ত, যাবজ্জীবন সাজা; নজির বিহার আদালতের

Next Article