Bihar: এক দিনের মধ্যে নাবালিকা নির্যাতনে শুনানি থেকে দোষী সাব্যস্ত, যাবজ্জীবন সাজা; নজির বিহার আদালতের

POCSO: মামলাটি আদালতে ওঠে, দশ জন সাক্ষীর বক্তব্য শোনে আদালত, মামলায় দুই পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়। এরপর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। আর এই গোটা পর্বটি ঘটেছে এক দিনের মধ্য়েই।

Bihar: এক দিনের মধ্যে নাবালিকা নির্যাতনে শুনানি থেকে দোষী সাব্যস্ত, যাবজ্জীবন সাজা; নজির বিহার আদালতের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2021 | 5:56 PM

পটনা : আদালতের বিচার প্রক্রিয়া অনেক সময়েই বেশ দীর্ঘদিন ধরে চলতে দেখা যায়। অনেক সময় বছরের পর বছরও পার হয়ে যায় বিচার পাওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু এর ব্যতিক্রমী চিত্রও রয়েছে অনেক। তেমনই একটি বিচার পর্বের সাক্ষী থেকেছে বিহারের বিশেষ পকসো আদালত। ঘটনাটি গত মাসের। এক আট বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণে দোষীকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত। মামলাটি আদালতে ওঠে, দশ জন সাক্ষীর বক্তব্য শোনে আদালত, মামলায় দুই পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়। এরপর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। আর এই গোটা পর্বটি ঘটেছে এক দিনের মধ্য়েই।

বিশেষ পকসো বিচারক শশী কান্ত রাই মামলাটি শুরু হওয়ার একদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে দিয়েছিলেন বিচার পর্বের। ওই একই দিনের মধ্যে মোট দশজন সাক্ষীর বক্তব্য শোনা হয়েছিল এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল ৪ অক্টোবর, ২০২১। অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণিত করার সময় বিচারক জানিয়েছিলেন, “দিলীপ কুমার যাদব নামে ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (এ বি) ধারা এবং পকসো আইনের ৬ ধারার অধীনে অভিযোগগুলি তুলে ধরতে পেরেছেন আইনজীবীরা।”

৪ অক্টোবর অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ওই একই দিনে তার সাজা শোনানো হয় এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, অভিযুক্ত এবং মামলাকারী তাদের যুক্তি পেশ করতে প্রস্তুত থাকলে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায় দেওয়ার পরে একই দিনে সাজা ঘোষণার শুনানির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।

বিশেষ সরকারি আইনজীবীর তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সমস্ত যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ মামলাকে একটি দিকেই এগোচ্ছে। নির্যাতিতা ১২ বছরেরও কম বয়সি এবং ডাক্তারি প্রমাণের পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রমাণগুলিও অভিযুক্তের অপরাধের দিকে নির্দেশ করে।

আদালত ৯ বছর বয়সি ওই নির্যাতিতার ভাইয়ের সাক্ষ্যও বিবেচনায় নিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে ঘরে ধর্ষণ করা হয়েছিল, সেই ঘরে তিনি অভিযুক্ত দিলীপকে দেখেছিলেন। এমনকী তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন যে অভিযুক্ত তাঁকে চড়ও মেরেছিল এবং ভয়ের কারণে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।

অভিযুক্ত দিলীপের বিরুদ্ধে, ওই ব্যক্তি নির্যাতিতাকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়েছিল এবং তার উপর যৌন নির্যাতন করেছিল।

একজন শিশু সাক্ষীর বক্তব্যের বিষয়ে আদালত জানিয়েছে,  নির্যাতিতা সাক্ষ্য সমস্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং সকল পর্যায়ে তার বিবৃতি সঙ্গতিপূর্ণ। তার বিবৃতিকে একটি নির্ভরযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য প্রমাণ হিসাবে গৃহীত হয়েছিল আদালতে।

আরও পড়ুন : All Party Meeting: রবিবাসরীয় সর্বদল বৈঠকে থাকতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী, ওয়াক-আউট আম আদমি পার্টির

আরও পড়ুন : TMC in All Party Meeting: বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি থেকে বেকারত্ব, সর্বদলীয় বৈঠকে ১০ ইস্যুতে সরব তৃণমূল