All Party Meeting: রবিবাসরীয় সর্বদল বৈঠকে থাকতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী, ওয়াক-আউট আম আদমি পার্টির
Parliament Winter Session: সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, "নরেন্দ্র মোদী সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত থাকার এক রীতির শুরু করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগে সর্বদল বৈঠকে কেবল সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রীই উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু আজকের সর্বদল বৈঠকে থাকতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী।"
নয়া দিল্লি : আগামিকাল থেকেই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। আর তার আগে আজ সর্বদল বৈঠকের (All Party Meeting) ডাক দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বৈঠকে উপস্থিত ছিল ৩১ টি রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন দলগুলির থেকে সব মিলিয়ে ৪২ জন নেতা বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
রবিবাসরীয় সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আজ বৈঠকে দেখা মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর। এই প্রসঙ্গে আজ সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, “নরেন্দ্র মোদী সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত থাকার এক রীতির শুরু করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগে সর্বদল বৈঠকে কেবল সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রীই উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু আজকের সর্বদল বৈঠকে থাকতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী।”
এরপর রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আমরা আশা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী আজকের বৈঠকে থাকবেন। আমরা কৃষকদের জন্য বিল নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চাইছিলাম।” উল্লেখ্য, আজকের সর্বদল বৈঠকে বেশিরভাগ বিরোধী দলগুলি পেগাসাসে আড়ি পাতা থেকে শুরু করে, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি এবং বেকারত্ব নিয়ে আলোচনার দাবি করেছে। বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে অবগত এক সূত্র মারফত খবর, বিরোধী নেতারা পশ্চিমবঙ্গ সহ কয়েকটি রাজ্যে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বর্ধিত এক্তিয়ারের বিষয়টিও উত্থাপন করেছেন।
এদিকে, আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন। তাঁর বক্তব্য,তিনি কৃষকদের ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের বিল আনার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইছিলেন, কিন্তু তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে আম আদমি পার্টির নেতা বলেন, “সরকার কাউকে কথা বলতে দেয় না। তাহলে এমন বৈঠক করে লাভ কী?”
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এবং লাভজনক পিএসইউগুলির বিনিয়োগের বিষয়ে আইন আনার বিষয়টিও তুলে ধরেন সর্বদল বৈঠকে। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে মূল্যস্ফীতি, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, কৃষকদের সমস্যা এবং কোভিড -১৯ সহ অনেকগুলি বিষয় উত্থাপিত হয়েছে। সমস্ত দল দাবি করেছে, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে একটি আইন করা হোক। আমরা দাবি করেছি, করোনায় মৃতদের পরিবারপিছু ৪ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কৃষি আইনের প্রতিবাদে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, এমন কৃষকদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।”
বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “অনেকগুলি পরামর্শ এসেছে। সরকার যথাযথ নিয়ম মেনে সব বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। সরকার আশা করে সংসদে ভাল এবং গঠনমূলক আলোচনা হবে।”