Congress Meeting: কংগ্রস-মমতা সম্পর্কে ফাটল? খাড়গের ডাকা বৈঠতে থাকছেনা তৃণমূলের প্রতিনিধি
Mamata Banerjee: উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেসকে চড়া সুরে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। আর তা মোটেও ভাল চোখে নেননি কংগ্রেস নেতাদের অনেকে।
নয়া দিল্লি: আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিরোধী ঐক্যের দাবিতে বারবার সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে মমতার কংগ্রেসে অনীহা ও ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়েছে। সব থেকে বড় বিস্ফোরণটা হয়েছিল মমতার গোয়া সফরে। অক্টোবরের শেষে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, “কংগ্রেসের জন্য নরেন্দ্র মোদী দিনের পর দিন শক্তিশালী হচ্ছেন…… কংগ্রেস নিজে কিছু করবেও না, কাউকে কিছু করতেও দেবেনা।” এরপর থেকেই কলকাতার জানবাজারে কালীপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানই হোক বা নবান্নের সভাঘর, একাধিকবার মমতার ‘কংগ্রেস বিরক্তি’ প্রকাশিত হয়েছে। মমতার সেই অবস্থানই এবার প্রতিফলিত হতে চলেছে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনের আগে।
সোমবার, সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে সবদল গুলিকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রসে। প্রত্যাশিতভাবেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ গিয়েছিল তৃণমূলের কাছেও। সেই আমন্ত্রণই প্রত্যাখান করল বাংলার শাসক দল। লোকসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জন খাড়গের ডাকা বৈঠকে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবে না।” সুদীপের স্পষ্ট বার্তার পর কংগ্রেসের তরফে তৃণমূলকে বোঝানোর চেষ্টা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে, কারণ কংগ্রেসের অন্তর্বতী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী এমনটাই চান বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সেই সম্ভবনা নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে দিল্লির অলিন্দে। কারণ একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেস ভাঙিয়ে তৃণমূল যেভাবে নিজেদের সম্বৃদ্ধ করছে, তাতে কংগ্রেসের একটাও বড় অংশ মমতার ওপর ক্ষুব্ধ।
সম্প্রতি মমতা নিজের দিল্লি সফরে স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলতে তিনি খুব একটা আগ্রহী নন। সাংবাদিকরা মমতাকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কবে দেখা করবেন? প্রশ্ন শুনে দৃশ্যতই চটে গিয়ে মমতা বলেন, “দিল্লি এলেই তাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে এইরকম কোনও নিয়ম আছে নাকি? এটা কি কোনও সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা? আমি দেখা করার জন্য কোনও সময় চাইনি।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেসকে চড়া সুরে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। আর তা মোটেও ভাল চোখে নেননি কংগ্রেস নেতাদের অনেকে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, কংগ্রেসকে আক্রমণ করে, কংগ্রেসকে দুর্বল দেখিয়ে, তৃণমূল আসলে বিজেপিকেই সাহায্য করছে। যদিও সেই সব অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। তাদেরর বক্তব্য, সবাই দেখেছে যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কংগ্রেসের ডাকা ওই বিরোধীদের বৈঠক থেকে তৃণমূল দূরে থাকা মানে আম আদমি পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টির মতো অন্যান্য বিরোধী দলগুলি, যারা ইউপিএর শরিক দল নয়, তারাও বৈঠক এড়িয়ে যেতে পারে। তাই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে আদৌ কতটা এককাট্টা হতে পারে বিরোধী শিবির সেই প্রশ্নও উঠে গেল।
আরও পড়ুন ‘ত্রিপুরা ভোটের ফলাফলের প্রভাব কলকাতার পুরভোটে পড়বে,’ তৃণমূলকে ‘সান্ত্বনা’ দিলীপ ও সুকান্তের