নয়া দিল্লি: দশ হাজারের নীচে রইল সংক্রমণ। গত কয়েকদিন ধরেই সংক্রমণ কখনও আট হাজার কখনও নয় হাজার কখনও বা দশ হাজারের নীচে ঘোরাঘুরি করছিল। এরপর গতকালের তুলনায় আজ দুহাজার বাড়ল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এখনই পিছু ছাড়ছে না করোনা (Corona)। ইতিমধ্যে আবিষ্কৃত হয়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন। যার কারণে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের কপালে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে (India) আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯৫৪ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৬ হাজার ৯৯০ জন। একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সামান্য বেড়ে গিয়েছে। করোনাকে (Corona) জয় করেছেন ১০ হাজার ২০৭ জন। করোনাকে হারিয়ে মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ জন।
শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। একদিনে ১ হাজার ৫২০ জন সক্রিয় আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। মোট সক্রিয় রোগী ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ২৮ হাজার ৫০৬ জন। তবে ধীরে ধীরে ফের বেড়েছে মৃত্যু। একদিনে করোনার বলি ২৬৭ জন।
সংক্রমণের নীরিখে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি একটু এগিয়ে রয়েছে। এখনও সংক্রমণের নিরিখে কেরল(Kerala)সর্বোচ্চ। সেই রাজ্যে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার ৭২৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭৭ জনের। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের কোনও খবর মিললেও নমুনা পরীক্ষা বাড়তেই ধরা পড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে, মহারাষ্ট্রে একদিনে ৬৭৮ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে কর্নাটক। সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯১ । গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। আর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২০ জন।
এদিকে, সোমবার এই রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছিল ৫১১। আর ২৪ ঘণ্টা পরই ফের আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বাড়ল অনেকটাই। মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭০৫। নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে অনেকটাই, আর তার জেরেই কোভিড রোগীর সংখ্যায় এই বড় বদল বলেই বলেই করছেন বিশেষজ্ঞরা। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ল রাজ্যে। সোমবার ১১ জনের মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত হয়ে। আজ সেই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ১৩।
অন্যদিকে, ওমিক্রনের (Omicron) উদ্বেগের মাঝেই আরও ভয় বাড়ল মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে যে দেশগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখান থেকেই আগত ছয় যাত্রীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এল। বুধবার সকালেই মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই কথা জানানো হয়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।