Morobi Bridge Collapse: ‘দোষীদের রেয়াত করা হবে না’, গুজরাট সেতু বিপর্যয়ে পুলিশের জালে ওরেভার দুই ম্যানেজার সহ ৯
Morobi Bridge Collapse: গুজরাটের সেতু বিপর্যয়ে ধৃত ৯। পুলিশের জালে ওরেভার দুই ম্যানেজার।
গান্ধীনগর: গুজরাটের মোরবিতে সেতু বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৪১ জনের। এখনও কাদায় অনেকের দেহ আটকে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হঠাৎ করে এমন বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে গতকাল থেকেই নানান তত্ত্ব উঠে আসছে। তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এদিকে সোমবারই এই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন, ওরেভা সংস্থার ম্যানেজার, টিকিট সংগ্রাহক, সেতু মেরামতির কনট্রাক্টর ও তিনজন নিরাপত্তীরক্ষী।
গুজরাট ভিত্তিক এই ওরেভা সংস্থাকে ১৫ বছরের জন্য এই সেতু রক্ষণাবেক্ষণের ও দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে আগেই জানা গিয়েছিল। গত সাত মাসের জন্য এই সেতুটির মেরামতির কাজের জন্য বন্ধ ছিল। তারপর গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। মোরবি পুরসভার প্রধান গতকালই অভিযোগ করেছিলেন, কোনও ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই এই সেতু জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সেতু খুলে দেওয়ার ৪ দিনের মধ্যেই এত বড় বিপর্যয়ের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। গুজরাটের এই সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক নিরাপত্তাজনিত নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। গুজরাট পুলিশের রাজকোট রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল (IG) অশোক যাদব জানিয়েছেন, ‘আমরা দোষীদের ছেড়ে দিতে পারি না। তাদের রেয়াত করা হবে না।’
সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে অশোক যাদব বলেছেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করা পর আমরা ৯ জনকে গ্রেফতার করেছি। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওরেভা গ্রুপের দুই ম্যানেজার ও আরও অন্যান্য।’ প্রসঙ্গত, একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মোরবি পুরসভার সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তি হওয়ার পর ওরেভা সেতু মেরামতির প্রযুক্তিগত দিক একটি ছোটোখাটো সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে জানা গিয়েছে, চুক্তি মোতাবেক মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেতুটি আট থেকে বারো মাস বন্ধ রাখার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই তা খুলে দেওয়া হয়। তারপরই এত বড় বিপত্তি। পুলিশের এফআইআর এ এই ঘটনাকে ‘গুরুতর দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উদাসীন পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এফআইআর এ আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মেরামতি ও রক্ষণাবেণের দায়িত্ব যাঁদের উপর দেওয়া হয়েছিল তারা যথাযথভাবে সেতুর গুণমান পরখও করে নেয়নি। কিন্তু এর ফলে কত বড় বিপদ হতে পারে তার ধারণা তাদের ছিল। এছাড়াও যে সেতুতে একসঙ্গে ১২৫ জন পর্যন্ত মানুষ থাকতে পারে সেখানে দুর্ঘটনার সময় ৫০০ জন মতো সেই সেতুর উপর উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ৫০০ জনকে প্রতি টিকিট ১২ থেকে ১৭ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। অতিরিক্ত ভিড় ও দাপাদাপির কারণেই ছিঁড়ে পড়ে সেতুটি। আর চোখের নিমেছে প্রাণ যায় শতাধিক মানুষের।