Earthquake: ৩২ জনের মৃত্যু, মঙ্গলের সকালে বাংলা থেকে ঠিক কতটা দূরে হল ভূমিকম্প, কতটা ক্ষয়ক্ষতি হল
Earthquake: নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হওয়ায় নেপালেও ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভূতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, হিমালয়ের ওই অংশ বরাবরই ভূমিকম্পপ্রবণ।
নয়া দিল্লি: সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে আচমকা কেঁপে ওঠে গোটা রাজ্য। জানা যায়, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি, বিহার সহ দেশের একাধিক রাজ্যে। শুধু তাই নয়, প্রভাব পড়েছে চিন, বাংলাদেশ, ভুটানেও। জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল আসলে তিব্বতে। এই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, আহত ৩৮। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তিব্বতের ভূমিকম্পেই কেঁপে উঠেছে কলকাতা সহ গোটা বাংলা। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় তিব্বতের শিজ্যাংয়ে। জানা গিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল নেপালের কাছে। ফলে, উত্তরবঙ্গে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়েছে।
সিকিমের গ্যাংটক থেকে কম্পন-কেন্দ্রের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। বিহার, উত্তর-পূর্ব ভারতেও যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে ভূমিকম্পের। মূল কম্পনের পর মোট ৫টি আফটারশক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আফটারশকগুলির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪.৭, ৪.৯, ৫.০, ৪.৯, ও ৪.৮। ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরেই এই কম্পনের উৎস। তিব্বতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হওয়ায় নেপালেও ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভূতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, হিমালয়ের ওই অংশ বরাবরই ভূমিকম্পপ্রবণ। ভারতীয় ও ইউরেসিয়াল টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে কম্পন হয় বারবার।