সাসারাম: চোরেরা চুরি করবে আর পুলিশ তাদের খুঁজে খুঁজে গ্রেফতার করবে, এটাই স্বাভাবিক। প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেল খুললে কয়েকটা চুরির ঘটনা সামনে আসেই। তবে আজ এমন একটি চুরির ঘটনা সামনে এসেছে যা শুনে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। দিনের আলোতে চোরেরা এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে, তা এখনও অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। ৪৫ বছরের পুরানো একটি স্টিলের ব্রিজ (Steel Bridge Stolen) রাতারাতি উধাও হয়ে গিয়েছে। বিহারের রোহতাস জেলার আরা-সোন খালের ওপর থাকা ৬০ ফুট লম্বা একটি ব্রিজ রাতারাতি চুরি হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিন দিন ধরে গোটা ব্রিজটি চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের মতে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, সরকারি আধিকারিকদের একাংশ এই চুরির ঘটনাতে মদত দিয়েছেন। তাদের মতে সেচ বিভাগের আধিকারিকদের মদতেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
Bihar |60-feet long-abandoned steel bridge stolen by thieves in Rohtas district
Villagers informed some people pretending as mechanical dept officials uprooted bridge using machines like JCB & gas-cutters. We've filed the FIR:Arshad Kamal Shamshi, Junior Engineer,Irrigation dept pic.twitter.com/o4ZWVDkWie
— ANI (@ANI) April 9, 2022
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে ব্রিজটিকে চুরি করা জন্য গ্যাস কাটার ও জেসিবি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি দিনেই ওই খালের ওপর থেকে স্টিল নির্মিত ওই ব্রিজটি চুরি করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ওই ব্রিজের পাশেই কংক্রিটের একটি ব্রিজ তৈরি হওয়ার পর, পাঁচ বছর ধরে ধীরে ওই ইস্পাতের ব্রিজটি তুলে ফেলা হচ্ছিল। ৫০০ টন ওজনের স্টিলের ব্রিজ রাতারাতি উধাও হয়ে যাওয়া গ্রামবাসীরা তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। ওই গ্রামের অনেক প্রবীণ অধিবাসী জানিয়েছে, তারা জীবনে এই ধরনরে চুরির কথা শোনেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৭২ সালে ওই ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছি আমিয়াওয়া গ্রামে আরা-সোন খালের ওপর ওই ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসন স্টিলের ব্রিজটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করার ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াতের জন্য পার্শ্ববর্তী একটি কংক্রিটের ব্রিজ ব্যবহার করত। ওই এলাকার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র আরশাদ কামাল শমশী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই ব্রিজ চুরির ঘটনায় সেচ দফতরের তরফে স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, স্থানীয়দের থেকে বিবরণ নিয়ে চোরদের স্কেচ তৈরি করার কাজ চলছে। স্ক্র্যাপ ডিলার ও ভাঙা লোহার কারবারিদেরও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরকার অনেকেই কটাক্ষ করেছেন। টুইটারে ঘটনা নিয়ে একাধিক মিম ছড়িয়ে পড়েছে। বিহাররে নীতীশ কুমার সরকার এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন Sri Lankan Economic Crisis: শ্রীলঙ্কাতে ভেঙেছে অর্থনীতির কোমর, ভারত কি এর থেকে শিক্ষা নেবে?