Murder: ৩০ বছরের বন্ধুত্ব শেষ হল নৃশংস হত্যায়, নেপথ্যে…
Murder: কামাক্ষীপাল্যতে চলে এলেও ধনঞ্জয়ের সঙ্গে বিজয়ের বন্ধুত্বে ছেদ পড়েনি। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বিজয়ের বাড়িতে যাতায়াত ছিল ধনঞ্জয়ের। কিন্তু, তাঁদের সেই বন্ধুত্বেই আচমকা টানাপোড়েন শুরু হয়।

বেঙ্গালুরু: ছোটবেলা থেকে তাঁদের বন্ধুত্ব। ৩০ বছর পরও সেই বন্ধুত্ব অটুট ছিল। কিন্তু, তা শেষ হল এক নৃশংস হত্যায়। বন্ধুকে খুনের অভিযোগ উঠল অপরজনের বিরুদ্ধে। আর এই খুনের পিছনে রয়েছেন মৃত বন্ধুর স্ত্রী। অভিযুক্তের সঙ্গে যাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ঘটনাটি কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর। মৃতের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বিজয় কুমার(৩৯)। অভিযুক্তের নাম ধনঞ্জয় ওরফে জয়। বেঙ্গালুরুর মাগাদি এলাকায় ছোটবেলায় থাকতেন তাঁরা। তখন থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব। বিজয় বছর দশেক আগে আশা নামে এক যুবতীকে বিয়ে করেন। স্ত্রীকে নিয়ে কামাক্ষীপাল্যতে চলে আসেন তিনি।
কামাক্ষীপাল্যতে চলে এলেও ধনঞ্জয়ের সঙ্গে বিজয়ের বন্ধুত্বে ছেদ পড়েনি। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বিজয়ের বাড়িতে যাতায়াত ছিল ধনঞ্জয়ের। কিন্তু, তাঁদের সেই বন্ধুত্বেই আচমকা টানাপোড়েন শুরু হয়। বিজয় জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ধনঞ্জয়ের। বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন। স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর ছবিও দেখেন। বিয়ে বাঁচাতে কাদাবাগেরের মাচোহল্লিতে একটি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে এসে ওঠেন বিজয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারপরও ধনঞ্জয়ের সঙ্গে আশার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। ঘটনার দিন সন্ধে পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলেন বিজয়। তারপর বাড়ি থেকে বেরোন। আর বাড়ি ফেরেননি। পরে সেখানকারই একটি এলাকা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায়, ধনঞ্জয় ও আশা ষড়যন্ত্র করে বিজয়কে খুন করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আশাকে আটক করেছে পুলিশ। ধনঞ্জয় পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।

