Cyber Fraud: ঘরে রয়েছে ‘জেদি প্রেতাত্মা’! তান্ত্রিক সেজে লাখ লাখ টাকা হজম সাইবার জালিয়াতের

Cyber Fraud: বাড়ি থেকে প্রেতাত্মা দূর করতে কী করণীয়, সে কথাও রাজেশকে জানান তিনি। বিশেষ পুজো করতে হবে এবং তিনটি ছাগল বলি দিতে হবে। এর জন্য খরচ পড়বে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। সেই মতো রাজেশও টাকা দিয়ে দেন তান্ত্রিক বিশ্বনাথকে। পুজো, ছাগ-বলির পরেও সমস্যা কাটে না।

Cyber Fraud: ঘরে রয়েছে 'জেদি প্রেতাত্মা'! তান্ত্রিক সেজে লাখ লাখ টাকা হজম সাইবার জালিয়াতের
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Apr 02, 2024 | 7:30 AM

সাইবার জালিয়াতির নিত্য নতুন পন্থা খুঁজে বের করছে প্রতারকরা। এবার তান্ত্রিক সেজে এক ব্যক্তির থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের সুরাট সংলগ্ন এলাকায়। তান্ত্রিক-রূপী সাইবার জালিয়াতদের খপ্পরে এবার বছর চৌত্রিশের রাজেশ নারায়ন। এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তিনি। কর্মসূত্রে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। টেনশনের জন্য প্রায়শই মাথায় তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করছিলেন। সম্প্রতি আবার রাতের ঘুমও উড়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন আজে-বাজে দুঃস্বপ্ন দেখতেন ঘুমোলেই। ডাক্তারের পরামর্শও নিয়েছিলেন, কিন্তু দুঃস্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়নি। এরপর একদিন ফেসবুক ঘাঁটতে ঘাঁটতে তিনি এক তান্ত্রিকের পরিচয় পান। তান্ত্রিক মণীশকুমার বিশ্বনাথ। ওই তান্ত্রিককে তিনি নিজের যাবতীয় সমস্য়ার কথা জানান। সে কথা শুনে বিশ্বনাথ তাঁকে বলেন, রাজেশের বাড়িতে নাকি প্রেতাত্মার বাস রয়েছে।

বাড়ি থেকে প্রেতাত্মা দূর করতে কী করণীয়, সে কথাও রাজেশকে জানান তিনি। বিশেষ পুজো করতে হবে এবং তিনটি ছাগল বলি দিতে হবে। এর জন্য খরচ পড়বে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। সেই মতো রাজেশও টাকা দিয়ে দেন তান্ত্রিক বিশ্বনাথকে। পুজো, ছাগ-বলির পরেও সমস্যা কাটে না। তখন ওই তান্ত্রিক বলে, তিনি সব প্রেতাত্মাকেই তাড়িয়ে দিয়েছেন, শুধু তিনটি প্রেতাত্মা রয়ে গিয়েছে। ওই তিনটি প্রেতাত্মা খুবই জেদি গোছের। তাদের তাড়াতে গেলে ১০৮টি ছাগলের বলি দিতে হবে। সেই মতো রাজেশ নিজের আত্মীয় স্বজনের থেকে ধার-দেনা করে ওই তান্ত্রিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।

কিন্তু এরপরই তান্ত্রিকের ‘খেলা’ বুঝতে পারেন তিনি। এতগুলো টাকা তান্ত্রিককে পাঠানোর পরও সুরাহা হয় না মাথার যন্ত্রণা আর ঘন ঘন দুঃস্বপ্নের। এদিকে তান্ত্রিকের মোবাইলও সুইচড অফ হয়ে পড়ে রয়েছে। জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে থানায় যোগাযোগ করেন রাজেশ। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।