Maharashtra: মৃত ঘোষণা করেছে হাসপাতাল, এক ‘ঝাঁকুনি’-তে হেঁটে বাড়ি ফিরলেন ব্যক্তি

Maharashtra: পশ্চিম মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের কসবা-বাওয়াদা এলাকার বাসিন্দা পাণ্ডুরঙ্গ উলপে গত ১৬ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Maharashtra: মৃত ঘোষণা করেছে হাসপাতাল, এক 'ঝাঁকুনি'-তে হেঁটে বাড়ি ফিরলেন ব্যক্তি
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jan 03, 2025 | 2:35 AM

কোলাপুর: এমনও হয়! মৃত ঘোষণা করেছিল হাসপাতাল। অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল। রাস্তায় স্পিড ব্রেকার পেরোনোর সময় ঝাঁকুনি। আর সেই ‘ঝাঁকুনি’-র পরই ফের বেঁচে উঠলেন বছর পঁয়ষট্টির এক ব্যক্তি। শ্মশানে যাওয়ার বদলে কয়েকদিন পর হাসপাতাল থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরলেন। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের।

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের কসবা-বাওয়াদা এলাকার বাসিন্দা পাণ্ডুরঙ্গ উলপে গত ১৬ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিজনরা অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ নিয়ে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। খবর পৌঁছে যায় বাড়িতে। শোকাচ্ছন্ন পরিবারকে সমবেদনা জানাতে জড়ো হন প্রতিবেশীরা। পৌঁছে যান আত্মীয় স্বজনরা। এদিকে দেহ ফিরিয়ে আনার সময় অ্যাম্বুল্যান্স এক জায়গায় স্পিড ব্রেকার পারের সময় ঝাঁকুনি হয়। তখন পরিজনরা দেখেন, পাণ্ডুরঙ্গের আঙুল নড়ে উঠেছে। সঙ্গে সঙ্গে অন্য এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

এই খবরটিও পড়ুন

পাণ্ডুরঙ্গের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামীকে হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তায় স্পিড ব্রেকার পাশ করার সময় আমরা দেখি, তাঁর আঙুল নড়ছে।”

অন্য় হাসপাতালে প্রায় দিন পনেরো চিকিৎসার পর সোমবার বাড়ি ফেরেন পাণ্ডুরঙ্গ। এক ঝাঁকুনিই যেন তাঁকে মৃতলোক থেকে মর্ত্যলোকে ফিরিয়ে আনল।

এভাবে বেঁচে ফেরার পর কী বলছেন পাণ্ডুরঙ্গ? ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “ওইদিন একটু হাঁটাহাঁটির পর বাড়ি ফিরে চা পানের পর বসেছিলাম। আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। বাথরুমে যাই এবং বমি করি। তারপর কী হয়েছে মনে নেই। কে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল, সেসব কিছু মনে নেই।” এদিকে, যে হাসপাতাল পাণ্ডুরঙ্গকে মৃত ঘোষণা করেছিল, তারা কোনও মন্তব্য করেনি।