Bangladesh: ‘বাংলাদেশ আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভাই’, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী, খাল কেটে কুমির ডাকছেন না তো ইউনূস?

Bangladesh: কয়েকদিন আগে ডি-৮ সামিটে যোগ দিতে মিশরে গিয়েছিলেন ইউনূস। সেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রীকে ইউনূস অনুরোধ করেন, ১৯৭১-র দুই দেশের সম্পর্কের মোড় ও তিক্ততা যেন ভুলে যায় পাকিস্তান। ইসলামাবাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী ঢাকা।

Bangladesh: 'বাংলাদেশ আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভাই', বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী, খাল কেটে কুমির ডাকছেন না তো ইউনূস?
হঠাৎ কেন বাংলাদেশ প্রীতি পাকিস্তানের?
Follow Us:
| Updated on: Jan 02, 2025 | 8:41 PM

ঢাকা ও ইসলামাবাদ: একসময় পশ্চিম পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পূর্ববঙ্গের মানুষ। রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর পশ্চিম পাকিস্তান আজ শুধু পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কে আগ্রহী ইউনূস প্রশাসন। সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না পাকিস্তানও। পদ্মাপারের দেশকে নিয়ে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইশহাক দার বললেন, “বাংলাদেশ আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভাই।”

কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ৩ দিন পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আন্তবর্তী সরকার গঠন হয়েছে। আর অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছেন ইউনূস।

কয়েকদিন আগে ডি-৮ সামিটে যোগ দিতে মিশরে গিয়েছিলেন ইউনূস। সেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রীকে ইউনূস অনুরোধ করেন, ১৯৭১-র দুই দেশের সম্পর্কের মোড় ও তিক্ততা যেন ভুলে যায় পাকিস্তান। ইসলামাবাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী ঢাকা। শাহবাজও তখন জানান, “আমাদের ভাই, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মজবুত করা নিয়ে আশাবাদী আমরা।” এমনকী, ইউনূসকে পাকিস্তানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান শাহবাজ।

এই খবরটিও পড়ুন

তার কয়েকদিন পর এবার পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে বাংলাদেশ প্রীতি। এদিন ইশহাক দার বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভাই। তাদের সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান।” ইসলামাবাদে সাংবাদিক বৈঠকে বৈশ্বিক নানা বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ঢাকা সফরের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে পাকিস্তানের এই মন্ত্রী বাংলাদেশকে সহযোগিতার মূল অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক নতুন গতি পেয়েছে। ১৯৭১ সালের পর প্রথমবার সরাসরি সমুদ্র যোগাযোগ চালু হয়েছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্গো পরিদর্শন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী করাচি থেকে একটি পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে। ১৯৭১ সালের পর এটিই প্রথম কোনও পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের বাংলাদেশে নোঙর করার ঘটনা। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, খাল কেটে কুমির ডাকছেন না তো ইউনূস? বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের উস্কানি রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে।