Murder: হাতে কাটা মুন্ডু, থানায় বাবা-ছেলেকে দেখে চমকে উঠলেন অফিসার

Murder: প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ও মৃতের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। সুরেশের দাবি, তাঁর মেয়েকে পালাতে সাহায্য করেছেন প্রতিবেশী ওয়াঘমারে। এই নিয়ে দুই পরিবারের দীর্ঘদিনের ঝগড়া। গত ৩১ ডিসেম্বর পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন তাঁরা।

Murder: হাতে কাটা মুন্ডু, থানায় বাবা-ছেলেকে দেখে চমকে উঠলেন অফিসার
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Nisian Hughes
Follow Us:
| Updated on: Jan 02, 2025 | 6:26 PM

নাসিক: থানায় নিজেদের কাজে তখন ব্যস্ত অফিসার-পুলিশকর্মীরা। ধীর পায়ে থানায় ঢুকল ২ জন। প্রথমটায় পুলিশকর্মীরা অতটা খেয়াল করেননি। কিন্তু, তাঁদের হাতের দিকে তাকাতেই পুলিশকর্মীদের শরীর দিয়ে যেন ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। দু’জনের হাতে কুঠার আর কাঠারি। তাতে রক্ত মাখা। আর একজনের হাতে একটা কাটা মুন্ডু। চমকে উঠলেন পুলিশকর্মীরা। কাটা মুন্ডু হাতে ধরা ব্যক্তি বললেন, প্রতিবেশীকে খুন করে কাটা মুন্ডু নিয়ে এসেছেন। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের নাসিকের।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে নানাশি গ্রামে। বছর চল্লিশের সুরেশ বোকে এবং তাঁর পুত্র প্রতিবেশী রামচন্দ্র ওয়াঘমারে খুন করেন। কুঠার আর কাঠারির আঘাতে ওয়াঘমারের মুন্ডু ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায়। সেই কাটা মুন্ডু আর কুঠার, কাঠারি নিয়েই নানাশি আউটপোস্ট পুলিশ স্টেশনে পৌঁছন সুরেশ ও তাঁর ছেলে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ও মৃতের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। সুরেশের দাবি, তাঁর মেয়েকে পালাতে সাহায্য করেছেন প্রতিবেশী ওয়াঘমারে। এই নিয়ে দুই পরিবারের দীর্ঘদিনের ঝগড়া। গত ৩১ ডিসেম্বর পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন তাঁরা। পরদিনই ঝগড়ার সময় ওয়াঘমারেকে সুরেশ খুন করেন বলে অভিযোগ।

এই খবরটিও পড়ুন

ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত সুরেশের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তাঁর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামে পুলিশ ও স্টেট রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ওয়াঘমারের স্ত্রী মীনাবাঈ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুরেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তাঁর ছেলেকে আটক করা হয়েছে।

ডিসেম্বরের শুরুতে কলকাতায় এমন এক ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছিল। গল্ফগ্রিনে ময়লা স্তূপ থেকে এক মহিলার মুন্ডু উদ্ধার হয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই মহিলার মাথা কেটে ডাস্টবিনে ফেলে দেয় তাঁর জামাইবাবু।