Divorce: ‘পর্দা’-র আড়ালে মুখ ঢেকে রাস্তায় না বেরনোয় বিচ্ছেদ চাইছেন স্বামী, শুনে আদালত বলল…
Divorce: বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনকারী ওই ব্যক্তির বক্তব্য, পরম্পরা মেনে 'পর্দা'-য় মুখ না ঢেকে রাস্তাঘাটে বেরনোকে নিষ্ঠুরতা হিসেবে দেখা হোক। তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দেওয়া হোক। বিচারপতি সৌমিত্র দয়াল সিং এবং বিচারপতি ডি রমেশের বেঞ্চ জানায়, এটাকে নিষ্ঠুরতা বলা যায় না।
প্রয়াগরাজ: স্ত্রী রাস্তায় ‘পর্দা’-র আড়ালে মুখ ঢেকে রাখে না। এই কারণ দেখিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছেন স্বামী। স্ত্রীর এই ‘পর্দা’-র আড়ালে না থাকাকে তাঁর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা বলেও দাবি করেন। যদিও স্বামীর এই যুক্তি মানতে চাইল না আদালত। এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, ‘পর্দা’-র আড়ালে মুখ না ঢাকাকে বিবাহ বিচ্ছেদের যুক্তি হিসেবে মানা যায় না। এটা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর নিষ্ঠুরতাও নয়।
বছর ৩৫ আগে তাঁদের বিয়ে। স্বামীর অভিযোগ, পরম্পরা মানেন না তাঁর স্ত্রী। নিজের ইচ্ছেমতো চলেন। ওই ব্যক্তি একজন ইঞ্জিনিয়র। আর তাঁর স্ত্রী সরকারি শিক্ষক। ১৯৯০ সালে বিয়ের পর ৬ বছর একসঙ্গে ছিলেন তাঁরা। তারপর থেকে আলাদা থাকছেন। তাঁদের একটি ২৯ বছরের পুত্র রয়েছে।
ওই ব্যক্তির বক্তব্য, পরম্পরা মেনে ‘পর্দা’-য় মুখ না ঢেকে রাস্তাঘাটে বেরনোকে নিষ্ঠুরতা হিসেবে দেখা হোক। তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দেওয়া হোক। বিচারপতি সৌমিত্র দয়াল সিং এবং বিচারপতি ডি রমেশের বেঞ্চ জানায়, এটাকে নিষ্ঠুরতা বলা যায় না।
এই খবরটিও পড়ুন
ওই ব্যক্তি আরও অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। যদিও যথেষ্ট প্রমাণের অভিযোগে তা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
তবে আদালত জানায়, স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকছেন না স্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুসারে, এই বিষয়টিকে মানসিক নিষ্ঠুরতা বলা যায়। শেষপর্যন্ত তাঁদের বিচ্ছেদের অনুমতি দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। দুই জনেই যথেষ্ট আয় করায় খোরপোশের প্রসঙ্গ ওঠেনি। শেষ হয় দীর্ঘ দুই দশকের আইনি লড়াই।