গান্ধীনগর: রাজ্য দখল হয়নি তো কি, গুজরাটে খাতা তো খুলেছে। শুধু তাই নয়, ভোটের মার্জিনও ৬ শতাংশ পার করেছে আম আদমি পার্টি। সুতরাং আপ-এর জাতীয় দলের মর্যাদা পাওয়ার পথও মসৃণ হল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গুজরাটে লড়ার পিছনে এটাও অন্যতম কারণ ছিল অরবিন্দ কেজরীবালের দলের। বৃহস্পতিবার গুজরাট বিধানসভার ভোট গণনার দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে এমনটাই জানালেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং-ও।
এ দিন গুজরাট বিধানসভার দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট গণনার শুরুতেই দেখা যায়, ৬টি আসন গিয়েছে আপ-এর ঝুলিতে। প্রাপ্ত ভোটের হারও দুই সংখ্যা পেরিয়েছে। আর এতেই আশাবাদী সঞ্জয় সিং বলেন, ৬ শতাংশ ভোট পেলেই আমরা জাতীয় দলের মর্যাদা পাব। এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। দল গঠনের কয়েক বছরের মধ্যেই আমাদের সেই লক্ষ্য পূরণ হতে চলেছে। এটাই আমাদের বড় সাফল্য।
দিল্লি পুরনিগম দখলের পর গুজরাটেও কি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ দেবে আপ? দিল্লি পুরনিগমের ফল ঘোষণার পর থেকে এমন প্রশ্ন-ই ঘোরাফেরা করছিল রাজনীতির অলিন্দে। যদিও বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় প্রথম থেকেই এগিয়ে বিজেপি। তবে দিল্লি পুরনিগম ভোটের মতো গুজরাটেও বিস্ময়কর ফল হবে বলে দাবি জানিয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তাঁর দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হলেও একেবারে মিথ্যা হয়নি।
এদিন গুজরাট বিধানসভার ভোট গণনার শুরু থেকেই গেরুয়া ঝড় উঠতে শুরু করে। তবে নতুন খাতা খোলে অরবিন্দ কেজরীবালের দল। দুপুর ১টা পর্যন্ত ৬টি আসন গিয়েছে আপ-এর ঝুলিতে। এখনও পর্যন্ত তাদের প্রাপ্ত ভোট ১২.৮৩ শতাংশ। অর্থাৎ জাতীয় দলের স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে আপ। তাই গুজরাট বিধানসভায় জয় না এলেও এই ফল আশানুরূপ বলেই মনে করেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং।
প্রসঙ্গত, কোনও রাজনৈতিক দলের জাতীয় দলের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। সেগুলি পূরণ করলেই জাতীয় দলের স্বীকৃতি পাওয়া যায়। এই শর্তগুলি হল- প্রথমত, রাজনৈতিক দলটিকে অন্তত তিনটি রাজ্য থেকে লোকসভায় ন্যূনতম ২ শতাংশ আসন পেতে হবে অথবা লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৪টি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে এবং চারটি লোকসভা আসনে জয় পেতে হবে অথবা দলটিকে অন্তত চারটি রাজ্যে রাজ্য দল হিসাবে স্বীকৃতি পেতে হবে।