নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি), ফের একবার ভেস্তে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন। এদিন, মেয়র নির্বাচনের জন্য দিল্লির সিভিক সেন্টারে ভোটাভুটির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই, হট্টগোল শুরু হয়। যার জেরে অধিবেশন মুলতবি করে দিতে বাধ্য হন প্রোটেম স্পিকার। যে কারণে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মেয়র নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল। তাই, এক মাসেরও বেশি আগে নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পরও, দিল্লির মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রের আসন ফাঁকাই রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই বিজেপি ও আপ কাউন্সিলরদের হট্টগোলের জেরে দিল্লির মেয়র নির্বাচন সম্ভব হয়নি। এদিন আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য পুর অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হল।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি প্রথমবার দিল্লির মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু, প্রোটেম স্পিকার মনোনয়ন থেকেই আপ ও বিজেপি কাউন্সিলরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেঁধেছিল। পুর নির্বাচনে আপ জয়লাভ করলেও, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর, বিজেপি কাউন্সিলর সত্যা শর্মাকে প্রোটেম স্পিকার মনোনীত করেন। সেই যাত্রা বিরোধ মিটলেও, এরপর প্রোটেম স্পিকার নির্বাচিত কাউন্সিলরদের বদলে মনোনীত কাউন্সিলরদের প্রথমে শপথ গ্রহণ করার জন্য ডাকতেই ফের দুই পক্ষে বাদানুবাদ শুরু হয়েছিল। যা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে গড়ায়। স্থগিত হয়ে যায় মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচন।
ওই দিনের ঘটনার পরও, এদিন ফের সত্যা শর্মা শপথ গ্রহণের জন্য প্রথমে ডাকেন মনোনীত ১০ কাউন্সিলরকেই। তাঁদের শপথগ্রহণ হয়। তারপর নির্বাচিত কাউন্সিলররাও শপথ গ্রহণ করেন। এরপর, মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচনের আগে ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন স্থগিত ছিল। সূত্রের খবর, সেই সময় কয়েকজন বিজেপি কাউন্সিলর ‘মোদী মোদী’ স্লোগান দিতে দিতে সিভিক সেন্টারের ভিতর ঘোরাঘুরি করা শুরু করেন। তাঁরা অরবিন্দ কেজরিওযালের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন বলে অভিযোগ। আপ কাউন্সিলরদের বেঞ্চের সামনে গিয়ে তারা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন বলে অভিযোগ। পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন আপ কাউন্সিলররাও। এরপরই প্রোটেম স্পিকার অধিবেশন মুলতবি করে দেন।