AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Abhishek Banerjee: দলনেতা হিসেবে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক! সুদীপের চেয়ার ফাঁকা রেখে পাশের চেয়ারে বসলেন অভিষেক

Abhishek Banerjee: কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না, এর আগে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। এবার সেই মহুয়াকেই একশো দিনের কাজ নিয়ে মন্ত্রীর কাছ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন অভিষেক।

Abhishek Banerjee: দলনেতা হিসেবে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক! সুদীপের চেয়ার ফাঁকা রেখে পাশের চেয়ারে বসলেন অভিষেক
বৈঠকে অভিষেক Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2025 | 6:58 PM
Share

নয়া দিল্লি: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন না সুস্থ হচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতার দায়িত্ব থাকছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাঁধে। খবরটা এসেছিল আগেই। এদিন সংসদে এসেই দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানালেন লোকসভায় তৃণমূলের নতুন চিপ হুইপ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। 

দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে আছেন ডেপুটি লিডার শতাব্দী রায়। ছিলেন কাকলিও। তবে দলনেতা হিসেবে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভার দলনেতার চেয়ার ফাঁকা রেখে পাশের চেয়ারে বসলেন অভিষেক। প্রথম বৈঠকেই জানালেন SIR নিয়ে আলোচনার দাবি। ওরা আলোচনা না মানলে সংসদ চলবে না। বাংলা-বাঙালি ইস্যুতে যাঁরা কুমন্তব্য করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তো কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, শোকজ করেনি, তার মানে ওদের সাপোর্ট রয়েছে। 

কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না, এর আগে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। এবার সেই মহুয়াকেই একশো দিনের কাজ নিয়ে মন্ত্রীর কাছ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন অভিষেক। সূত্রের খবর, বৈঠকে ছিলেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও অভিষেক জানান সুপ্রিম কোর্টে কেসের জন্যই আসতে পারেননি কল্যাণ। তিনি বলেন, কল্যাণদা আগেই মেসেজ করে জানিয়ে দিয়েছেন আজ সুপ্রিমকোর্টে কেস আছে! আমি কল্যাণদার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলব। এরপরই দলের ঐক্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, দলে বর্তমান টিমের মধ্যে কোনও মত পার্থক্য নেই। মিডিয়া যতই খুঁত খোঁজার চেষ্টা করুক, সবাই এক।

তবে ১১ তারিখ নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে অভিষেক থাকছেন না বলেই জানা যাচ্ছে। তবে দলীয় সাংসদদের থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ১২ আগস্ট ফের দিল্লি আসবেন অভিষেক। রাজেন্দ্র প্রসাদ রোডে দলের নতুন পার্টি অফিসে সংসদদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজের বৈঠক করবেন।

এদিন আবার রাহুল গান্ধীর ব্যক্তিগত ফোন পেয়ে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি এসেছেন অভিষেক। গত অধিবেশনে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব থাকলেও এই অধিবেশনে হঠাৎ এত ঘনিষ্টতার কারণ কী? অভিষেকের যদিও সাফ কথা, “আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট। আমাদের প্রায়োরিটি বেঙ্গল। ওরা যদি আমাদের জন্য কথা বলেন, আমরা ওদের জন্য কথা বলব। ওরা আমাদের জন্য দু’ পা হাঁটলে, আমরা চার পা হাঁটব। ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোটের সব বৈঠকে আমরা থেকেছি। এরপর ওরা সিট শেয়ারিং নিয়ে সময় মানেনি।”