কাবুল বিমানবন্দরের পর ভারতে বড় জঙ্গি হামলার ছক কষছে আইএস: গোয়েন্দা সূত্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Aug 27, 2021 | 9:23 PM

আফগানিস্তানে তালিবানি রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আন্তর্জাতিক এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নিশানায় এ বার ভারতের নাম উঠে এসেছে

কাবুল বিমানবন্দরের পর ভারতে বড় জঙ্গি হামলার ছক কষছে আইএস: গোয়েন্দা সূত্র
প্রতীকী ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি: কাবুল বিমানবন্দরে বিধ্বংসী বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে আরও বড় খবর উঠে এল গোয়েন্দা সূত্রে। জানা যাচ্ছে, এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে থাকা জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-র পরবর্তী লক্ষ্য হতে চলেছে ভারত। গোয়েন্দা সূত্র চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে জাতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। যেখানে দেখা গিয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবানি রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আন্তর্জাতিক এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নিশানায় এ বার ভারতের নাম উঠে এসেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোপন সূত্র মারফৎ পাওয়া এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রের এক সূত্র।

এই গোপন গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানে ইতিমধ্যেই পায়ের তলার মাটি শক্ত করে ফেলেছে ইসলামিক স্টেট খুরাসান। যা আইএস-কে নামেও পরিচিত। এবং পাকিস্তানের অন্যতম সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মহম্মদের সঙ্গে মিলে মধ্য এশিয়ার পর ভারতের মাটিতেও জিহাদের বীজ বপন করার পরিকল্পনা করেছে। আইএস ভারতেও খিলাফত শাসন প্রতিষ্ঠা করতে উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানাচ্ছে এই গোয়েন্দা সূত্র। যে যে অ্যাজেন্ডার তালিকা আইএস-র তরফে বানানো হয়েছে তার মধ্যে সবার উপরে রয়েছে ভারতে বড় জঙ্গি হামলা করা এবং যুবাদের ভর্তি করানো।

সূত্র আরও জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই মুম্বই এবং কেরলের বেশ কয়েকজন যুবক আইএস-এ নাম লিখিয়েছে, যাদের মাধ্যমে ভারতে বড় হামলার ছক কষতে শুরু করেছে আইএস। যদি নতুন করে ভারতকে নিশানায় নেওয়া হয়, তবে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা বহু স্লিপার সেল আবারও জেগে উঠতে পারে বলে সন্দেহ করছে গোয়েন্দা বিভাগ। তালিবান শাসিত আফগানিস্তানই যে সন্ত্রাসের পরবর্তী স্বর্গরাজ্য হতে চলেছে, সেই বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই এ বার বিপদ বাড়তে চলেছে ভারতের।

আর আইএস-র পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তিই হতে চলেছে জইশ-ই মহম্মদ। জম্মু-কাশ্মীরে ঘটা বেশিরভাগ জঙ্গি হামলা, পুলওয়ামার মতো হামলার জন্য দায়ী এই জঙ্গি গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই তাদের শিবির কান্দাহারের কাছে আফগানিস্তানের সীমান্তে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। একই ভাবে ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার নেপথ্যে থাকা জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ তৈইবাও নিজেদের প্রশিক্ষণ শিবির সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে পূর্ব আফগানিস্তানের কুনারে।

একটি সূত্র বলছে, তালিবান যে আদতে সুরক্ষা দিতে অক্ষম, সেটা গোটা বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতেই কাবুল বিমানবন্দরে গতকালকের হামলা চালিয়েছিল আইএস। আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার বার্তা দিতেও আইএস-কে গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের আরেকাংশ। ফলে এখন থেকেই ভারতকে সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে কী রণনীতি নিয়ে দিল্লি চলবে সেই বিষয়েও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে এখনও কত ভারতীয় আটকে? সঠিক সংখ্যাটা বলতে পারছে না বিদেশমন্ত্রক

Next Article