নয়া দিল্লি: দহনের জ্বালা। তীব্রদাহে পুড়ছে গোটা দেশ। বেশ কিছু রাজ্যে মৌসম ভবনের তরফে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। রাজধানীতে পারদ চড়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। এখনও পর্যন্ত এই বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়া দিল্লিতে। তবে এই দাবদাহ থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে দিল্লিবাসীর। স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার আগামী দু’ ঘণ্টার মধ্যে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লিতে। তবে শুধু রাজধানীর জন্যই স্বস্তি নয়। নিকটবর্তী হরিয়ানা ও রাজস্থানেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
নয়া দিল্লির আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে, “১২ এপ্রিল হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত। সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আগামী দু’ঘণ্টায় দিল্লির বিক্ষিপ্ত জায়গায় (নারেলা, বাওয়ানা, জফরপুর, দেরামান্ডি), এনসিআর (গ্রেটার নয়ডা, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ), ভিওয়ানি, চাকরি দাদরি, মাত্তনঝিল, ঝাঝার (হরিয়ানা), সাদুলপুরে (রাজস্থান) বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।” এদিকে কেন্দ্রীয় মৌসম ভবনের তরফেও জানানো হয়েছে, দিল্লি ও তাঁর নিকটবর্তী হরিয়ানা ও রাজস্থানে আগামী দু’ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী পাঁচদিনে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি বাড়বে বলে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস।
প্রসঙ্গত, এর আগে দিল্লির স্থানীয় আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, আগামী পাঁচদিনে উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমতলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। পূর্বাভাসে প্রায় ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, “উত্তর প্রদেশ এবং হরিয়ানায় এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে শক্তিশালী বাতাস বয়ে যেতে পারে।” এদিকে গতকাল মৌসম ভবনের অনুমান, এই বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ৯৬ শতাংশ বৃষ্টিপাত হতে পারে।