নয়া দিল্লি: তিহাড় জেলে ‘খুন’ রোহিনী আদালতে শুটআউটে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার তিলু তাজপুরিয়া। জেলেই তাঁর প্রতিপক্ষ দলের সদস্য় যোগেশ টুন্ডা এবং অন্যান্যরা তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তিলুকে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনা নিশ্চিত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই তিহার জেলের মধ্যে তিলু তাজপুরিয়ার উপর হামলা চালায় তাঁর প্রতিপক্ষ যোগেশ টুন্ডা ও টুন্ডার সহকারীরা। তিহাড় জেলের ৯ নম্বর সেলে বন্দি ছিলেন গ্যাংস্টার তিলু রাজপুরিয়া। আর তাঁর ঠিক পাশের সেল ৮ নম্বরেই ছিলেন দুষ্কৃতী যোগেশ টুন্ডা। লোহার গ্রিল টপকেই রড দিয়ে তিলুর উপর আঘাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে যোগেশ ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে। রক্তারক্তি কাণ্ড বাধে জেলের মধ্যেই। তারপরই দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তিলুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
গত বছর রোহিনী আদালতের ভিতরে বিপক্ষের গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র যোগীর উপরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল গ্যাংস্টার তিলু তাজপুরিয়া ওরফে সুনীল মানের বিরুদ্ধে। জানা যায়, জিতেন্দ্র যোগীকে মারার জন্য সুপারি কিলার নিয়োগ করেছিল সে। সেই গুলিতেই জিতেন্দ্র যোগীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার বদলা নিতেই জিতেন্দ্র যোগী গ্যাংয়ের সদস্য যোগেশ টুন্ডা তিলুকে হত্যা করেছে অনুমান পুলিশের। তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ জেলের প্রথম তলায় ৩৩ বছরের তিলুকে লোহার গ্রিল ভেঙে তা দিয়ে আক্রমণ করে যোগেশ টুন্ডা, রাজেশ সিং, রিয়াজ খান। দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে তিলুকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিকে তিহাড় জেলে খুনোখুনির ঘটনা এই নতুন নয়। গত বছরই রক্তারক্তি কাণ্ড বাধে তিহাড় জেলে। এই বছরের এপ্রিল মাসেই কুখ্যাত গ্য়াংস্টার প্রিন্স তেওয়াটিয়াকে তিহাড় জেলের মধ্যে খুন করা হয়। জেল বন্দিদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হয় আরও তিনজন বন্দি। এরপর ২ মে তিহাড় জেলেই পিটিয়ে খুন করা হল গ্য়াংস্টার তিলু তাজপুরিয়াকে।