Adhir Chowdhury: পুরানো সংসদ ভবনের শেষ ভাষণে দেশকে উন্নত করার বার্তা অধীরের
Parliament: ঐতিহাসিক সেন্ট্রাল হলের শেষ অধিবেশনে বক্তৃতায় আবেগঘন হয়ে পড়েন অধীর চৌধুরী। এই সেন্ট্রাল হলের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি অনুপ্রেরণাদায়ক এক কবিতার মধ্য দিয়ে পুরানো সংসদ ভবনে শেষ ভাষণ সম্পূর্ণ করেন তিনি। কীভাবে দেশকে উন্নীত করা যায়, তারও রূপরেখা দেন তিনি।
নয়া দিল্লি: সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটলেই দেশ উন্নত হবে। মঙ্গবার পুরানো সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার নরেন্দ্র মোদীর সরকার নিয়েছে। কিন্তু, ২০৪৭ সাল কেন, তার আগে কেন দেশ উন্নত হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। একইসঙ্গে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত করতে হলে কী করতে হবে, সে ব্যাপারেও একটি স্পষ্ট দিশা দেন তিনি।
ভারতকে উন্নত দেশ হওয়ার পথে আয়ের বৈষম্য প্রধান সমস্যা বলে জানান অধীর চৌধুরী। এদিন পুরানো সংসদ ভবনের যৌথ অধিবেশনে পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, “ভারতের মোট জনগণের মাত্র ১০ শতাংশের হাতে দেশের সম্পত্তি রয়েছে। অন্যদিকে, উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারতে বেকারত্বের হার অতিরিক্ত।” ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হলেও মাথাপিছু আয়ের মধ্যে যথেষ্ট বৈষম্য রয়েছে। এটাই দেশের উন্নয়নে বাধা হচ্ছে বলে জানান কংগ্রেস সাংসদ। মানবকল্যাণের নিরিখে বর্তমানে ১৮৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩১ নম্বরে রয়েছে। তাই দেশকে উন্নত করতে হলে সর্বাগ্রে আয় বৈষম্য দূর করে মানব কল্যাণে জোর দিতে হবে এবং সমাজের সার্বিক উন্নতি করতে হবে বলে জানান লোকসভার বিরোধী দলনেতা। শিক্ষা, চিকিৎসা পরিষেবার মতো মৌলিক বিষয়গুলি জনগণ না পেলে সমাজ উন্নত হয় না। তাই এই বিষয়গুলিতে জোর দিতে হবে এবং পরিকাঠামোর উন্নয়ন, বিনিয়োগে আকর্ষণ বাড়ানো, প্রযুক্তির উন্নয়নের উপর জোর দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এদিন ঐতিহাসিক সেন্ট্রাল হলের শেষ অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েন অধীর চৌধুরী। এই সেন্ট্রাল হলের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি অনুপ্রেরণাদায়ক এক কবিতার মধ্য দিয়ে পুরানো সংসদ ভবনে শেষ ভাষণ সম্পূর্ণ করেন তিনি। প্রকৃতি থেকে যে জীবনবাদ শেখা যায়, সেটাই তুলে ধরে কবিতার পংক্তি তুলে ধরেন অধীর। তিনি বলেন, “ধরিত্রী শিখাতে হে হামনে সবকা বোঝ উঠানা/ গগন শিখাতে হামনে উপরা উঠতে যানা/ সুরয কি লাল সে শিখা জগৎ আলোকিত করনা/ চন্দ্র কি কিরণও সে শিখা সবকা পীড়িত হরনা।/ পর্বত নে শিখায়ে হামনে দৃঢ় সংকল্প বানানা/ নদী শিখায়া হামনে আগে বাড়তে যানা/ সাগর কি লেহরা নে শিখা দুখ-সুখ সহে যানা /অর তুফান শিখলাতি হে আপৎ মে না ঘাবড়ানা আর আপোষ সে না টকড়ানা।”