নয়া দিল্লি: বাংলায় অ্য়াডিনো ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। শুক্রবার (১৭ মার্চ), এই বিষয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণকে সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দফতরে তলব করলেন কমিটির চেয়ারম্যান অধীর। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রভাব এবং তার সম্ভাব্য প্রতিরোধ এবং প্রতিকার নিয়ে রাজেশ ভূষণের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই রাজ্যের অ্যাডিনো পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলায় যেভাবে অ্য়াডিনো ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেন্দ্র কেন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না, সেই বিষয়েই মনসুখ মাণ্ডব্যের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷
পরে অধীর জানিয়েছিলেন, রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কোনও সাহায্য চাওয়া হযনি। সেই কারণেই অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে হস্তক্ষেপ করছে না কেন্দ্র। অধীর বলেছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ের মতোই অবস্থা অ্যাডিনোর ক্ষেত্রেও। করোনার সময়ও কেন্দ্রের সহযোগিতা নিতে চায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। অ্যাডিনোর সময়ও একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। অধীর বলেছিলেন, “প্রয়োজনে নাইসেডের সাহায্য নিতে হবে।”
গত আড়াই মাস ধরে রাজ্যে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হয়ে চলেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ-সহ অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন বা এআরআই (ARI) রোধে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে টাস্ক ফোর্স। জন সচেতনতায় আইএমএ এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিসিয়ানস-এর বিশেষজ্ঞদেরও শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগের মোকাবিলায় যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।