নয়াদিল্লি: চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বরারব রয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি (Line of Actual Control)। কিন্তু গত কয়েক বছরে এলএসি-র বিভিন্ন স্থানে উত্তপ্ত হয়েছিল পরিস্থিতি। দুই দেশের সেনাবাহিনীর হাতাহাতির ঘটনায় শান্তি বিঘ্নিত হয়েছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়। এ বছরও অরুণাচলের তাওয়াংয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছিল দুদেশের সেনা মুখোমুখি চলে আসায়। কিন্তু এখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রক রেখার পরিস্থিতি কী রকম? শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তা জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার প্রধান জেনারাল মনোজ পাণ্ডে। তিনি জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। তবে এলএসি বরাবর ভারতীয় সেনার কড়া নজরদারি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাওয়াংয়ে ঘটনার পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা জওয়ানের মোতায়েন বাড়িয়েছিল ভারত। তাও কমানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সেনা প্রধান।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে আলোচনায় স্বাভাবিক ভাবেই চিনের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সেনা প্রধানের কথায়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের কার্যকলাপের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রক রেখার পরিস্থিতি নিয়ে সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে বলেছেন, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামগ্রিম পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল। তবে পরিস্থিতির উপর আমাদের কড়া নজর রাখতে হবে। চিন সীমান্তে যে অতিরিক্ত সেনা জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল, তা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে এলএসি বরাবর সেনার প্রযুক্তিগত উন্নতির বিষয়েও নজর দেওয়া হচ্ছে।” প্রযুক্তিগত উন্নতির পাশাপাশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতেও বিশেষ নজরের কথা উল্লেখ করেছেন সেনা প্রধান।
এ ব্যাপারে মনোজ পাণ্ডে বলেছেন, “এলএসি এবং তিনটি সেক্টরে আমাদের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সেনা মজুদ রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি এবং অস্ত্র ব্যবস্থার সঙ্গে মিশে আমাদের সক্ষমতা বিকাশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে সামনের এলাকার রাস্তা এবং হেলিপ্যাড তৈরির কাজ অনেক হচ্ছে।”
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকাও। এলএসি বরাবর উত্তেজনা তৈরির অভিযোগে চিনের সমালোচনাও করেছে আমেরিকা। এ নিয়ে আমেরিকান হাউসে একটি রেজোলিউশনও পাশ হয় গত মাসে। সেখানে ম্যাকমোহন লাইনকে মান্যতা দিয়ে তা মেনে চলার জন্য চিনকে পরামর্শ দেয় আমেরিকা এবং ভারতের পাশে দাঁড়ায়।