নয়া দিল্লি: গরু পাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় চাপ বাড়ছে অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁকে গ্রেফতারের আগেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক সময়ের ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেন। গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিও। বারবার দিল্লিতে ডাকা হচ্ছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। এরইমধ্যে এবার দিল্লিতে হাজির কেষ্টর বাড়ির পরিচারক। শুক্রবারই দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পৌঁছলেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক তথা লাভপুর কলেজের কর্মী বিজয় রজক। বাড়ির পরিচারক, একইসঙ্গে কলেজের অশিক্ষক কর্মীও তিনি। এ তথ্য ইডির হাতে উঠে আসার পর কার্যত হতবাক হয়ে যায় তারা।
ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন এই বিজয় রজক। আর সেই সম্পত্তির উপর নজর রয়েছে ইডির আধিকারিকদের। ইডি জানতে চায়, বিজয়ের এমন কী রোজগার রয়েছে, যার জন্য এত বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকবার সিবিআই আধিকারিকরা বিজয় রজককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। একদিকে তাঁর বিপুল সম্পত্তি, পাশাপাশি সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার লেনদেনের তথ্যও পেয়েছে ইডি। এ বিষয়েও জানতে চান তদন্তকারীরা। কলেজে অশিক্ষক কর্মী, অনুব্রতর বাড়ির পরিচারকের পাশাপাশি বিজয় অনুব্রত মণ্ডলের ফটোগ্রাফার হিসাবেও কাজ করতেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফটোগ্রাফার হিসাবে কাজ করতেন বিজয় রজক।
গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর বেশ কিছু তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে। সিবিআই সূত্রে জানা যায়, অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির একটা বড় অংশই তাঁর পরিচিত-স্বজনদের নামে রয়েছে। গাড়ির চালক থেকে পরিচারক কিংবা নিরাপত্তা রক্ষী, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে প্রথম থেকেই ছিলেন সকলে।
সিবিআই সূত্রে খবর, বাড়ির পরিচারকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক লেনদেনও হয়েছে। সেই তথ্য যাচাইয়েই পরই কেষ্টর বাড়ির পরিচারক ও মেয়ের গাড়ির চালককে তলব করা হয়। নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হয়েছিল তাদের। এরপরই ইডির নজর কেষ্টর দিকে ফিরতেই একে একে পরিচারক, গাড়ির চালকরাও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের স্ক্যানারে চলে আসে। এবার দিল্লিতে কেষ্টর নিচুপট্টির বাড়ির পরিচারক বিজয়। বড় কোনও তথ্য উঠে আসবে না তো, নজর সেদিকেই।