৪০ বছর পর ভোপাল মুক্তি পেল ইউনিয়ন কার্বাইডের বিষাক্ত স্মৃতি থেকে

Bhopal Gas Tragedy: ১২টি লিক-প্রুফ, ফায়ার-প্রুফ বিশেষ কন্টেনারে করে ওই বিষাক্ত বর্জ্য ২৫০ কিলোমিটার পথ গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় পিঠামপুরে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা এলাকা। বিষাক্ত বর্জ্যের কন্টেনারের সঙ্গে সঙ্গে ছুটছিল পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের গাড়ি।

৪০ বছর পর ভোপাল মুক্তি পেল ইউনিয়ন কার্বাইডের বিষাক্ত স্মৃতি থেকে
ভোপালের বিষাক্ত বর্জ্য স্থানান্তর হল ৪০ বছর পর।Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Jan 02, 2025 | 8:04 AM

ভোপাল: ইতিহাসের এক বিষাক্ত অধ্যায়, যার ক্ষতের দাগ এখনও ভোপালবাসীর শরীর-মননে অক্ষত। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার জেরে যে বিপর্যয় নেমেছিল, তার প্রভাব এখনও বর্তমান। তবে ৪০ বছর পর ভোপাল বিপর্যয়ের সেই অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলল কিছুটা। ৪ দশক আগে ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানায় যে বিষাক্ত বর্জ্য রেখে গিয়েছিল, তা থেকে মুক্তি পেল ভোপালবাসী।

ভোপাল গ্য়াস দুর্ঘটনা ঘটেছিল ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে। এরপরে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও, সেখানে রয়ে গিয়েছিল ৩৩৭ মেট্রিক টন বিষাক্ত বর্জ্য। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ভোপাল থেকে সেই বর্জ্য নিয়ে মধ্য প্রদেশের পিথমপুরে নিয়ে যাওয়া হল।

১২টি লিক-প্রুফ, ফায়ার-প্রুফ বিশেষ কন্টেনারে করে ওই বিষাক্ত বর্জ্য ২৫০ কিলোমিটার পথ গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় পিঠামপুরে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা এলাকা। বিষাক্ত বর্জ্যের কন্টেনারের সঙ্গে সঙ্গে ছুটছিল পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের গাড়ি। যাতে কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়া না হয়, তার জন্য বিশালাকার এইচডিপিই ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়া হয় বর্জ্য। বিষাক্ত বর্জ্য সরানোর আগে ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানার ২০০ মিটার চত্বরও সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়।

কেন নিয়ে যাওয়া হল পিথমপুরে?

ভোপালের ওই কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে মধ্য প্রদেশের পিথমপুরে। মধ্যপ্রদেশের বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রটি একমাত্র অত্যাধুনিক প্ল্যান্ট। মাটি থেকে ২৫ ফুট উপরে নির্মিত একটি বিশেষ কাঠের প্লাটফর্মে বর্জ্য পোড়ানো হবে কঠোর বৈজ্ঞানিক প্রোটোকল মেনে। প্রতি ঘন্টায় যদি ৯০ কেজি বর্জ্য পোড়ানো হয়, তবে সময় লাগবে ১৫৩দিন। সর্বোচ্চ হারে যদি ঘন্টায় ২৭০ কেজি বর্জ্য পোড়ানো, সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন কার্বাইডেই সেই বর্জ্য ৫১দিনে পোড়ানো সম্ভব।