বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের একটি হোটেলের ঘরে এক যুগলকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল ৭ যুবকের বিরুদ্ধে। দুই ভিন্ন ধর্মমতের যুগল হওয়ার জন্যই তাঁদের উপর অভিযুক্তরা চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। হোটেলের ঘরে জোর করে ঢোকা এবং যুগলকে মারধরের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে বৃহস্পতিবার থেকে। সেই ঘটনায় নিল নতুন মোড়। নীতি পুলিশিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ তুললেন ওই যুবতী। তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এই কথা একটি ভিডিয়োতেও বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, হোটেলের ঘরে জোর করে ঢুকে যুগলকে মারধরের পর ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। একটি গাড়িতে চাপিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সেই গাড়ি করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া জঙ্গলে। সেখানেই অভিযুক্তরা তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে ওই যুবতী। ধর্ষণের পর একটি বাসস্টপে অভিযুক্তরা তাঁকে নামিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ।
সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনা নিয়ে হাভেরির পুলিশ সুপার অংশু কুমার বলেছেন, “ধর্ষণের কথা প্রথমে আমাদের জানানো হয়নি। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে আমরা ধর্ষণের কথা জেনেছি। তার পর অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ধারা যোগ করা হয়েছে।” নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত ৭ জনের মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি তিন জন পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই যুবতী বিবাহিত। কিন্তু এক যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা গিয়েছিলেন ওই হোটেলে। সেখানেই ঘটে নিগ্রহের ঘটনা।