AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মরে যাচ্ছে অস্থিমজ্জার কোষ, যেকোনও মূহুর্তে গুড়িয়ে যেতে পারে হাড়, বিরল রোগের শিকার ৩ করোনা রোগী

Bone Death: মুম্বইয়ের মহিমে অবস্থিত হিন্দুজা হাসপাতালে তিন রোগীর দেহে এই বিরল রোগের উপসর্গ দেখা গিয়েছে।

মরে যাচ্ছে অস্থিমজ্জার কোষ, যেকোনও মূহুর্তে গুড়িয়ে যেতে পারে হাড়, বিরল রোগের শিকার ৩ করোনা রোগী
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Jul 05, 2021 | 1:59 PM
Share

মুম্বই: করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি বিগত কয়েক মাস ধরে চিন্তা বাড়িয়েছিল মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus)। এ বার নতুন করে চিন্তা বাড়াল আভাসক্যুলার নেক্রসিস (avascular necrosis) বা বোন ডেথ (Bone Death)। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে তিন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।  করোনা সংক্রমণের পরই এই বিরল রোগের দেখা দেওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসকদের।

সূত্র অনুযায়ী, মুম্বইয়ের মহিমে অবস্থিত হিন্দুজা হাসপাতালে তিন রোগীর দেহে এই বিরল রোগের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডঃ সঞ্জয় আগরওয়াল বলেন, “ওই তিনজন রোগীর অস্থিমজ্জা বা ফিমার বোনে প্রচন্ড ব্যাথার কথা জানাতেই চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা করেন এবং বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখা যায় তাদের শরীরে ওই বিরল রোগ বাসা বেঁধেছে।”

কী এই বোন ডেথ?

মানবদেহে সবথেকে শক্তিশালী হাড় হল অস্থিমজ্জা বা ফিমার বোন (Femur Bone)। যখন এই অস্থিমজ্জার কোষগুলি মরে যায়, তখনই তাকে বোনডেথ বলা হয়। কারণ কোষ ছাড়া আমাদের দেহ অচল। কোষগুলির মৃত্য়ুর ফলে ধীরে ধীরে ওই অংশে রক্ত সঞ্চালনও বন্ধ হয়ে যায় এবং হাড়ে ছোট ছোট চিড় ধরতে থাকে। পরবর্তী সময়ে চাপ পড়লেই কার্যত ভেঙে গুড়ো হয়ে যায় অস্থিমজ্জা।

উপসর্গ:

প্রাথমিক স্তরে এই রোগের কোনও উপসর্গই চোখে পড়ে না। ধীরে ধীরে রোগের বিস্তার ঘটায় হাঁটলে বা পায়ের উপর চাপ পড়লেই ব্যাথা অনুভূত হয়। রোগের শেষ পর্যায়ে শুয়ে থাকলেও ক্রমাগত যন্ত্রণা অনুভূত হয়।

কারণ:

একাধিক কারণে এই বিরল রোগ দেখা দিতে পারে। অস্থিমজ্জার হাড় ভেঙে গেলে সেখানের কোষের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার রক্তে ফ্য়াট বা লিপিড জমা হলেও সেক্ষেত্রে রক্ত সঞ্চালন কমে যায় এবং বোন ডেথ ঘটে। মূলত অত্যাধিক বা নিয়মিত মদ্যপান করলেই রক্তে ফ্যাট জমতে পারে। এছাড়াও বেশি মাত্রায় স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলেও এই রোগ দেখা দিতে পারে।

এক্ষেত্রে তিনজন করোনা রোগীর মধ্যেই মিল ছিল স্টেরয়েড(Steroids) ব্যবহারে। অর্থাৎ করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড বা সেই জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করায় যেমন মিউকরমাইকোসিস দেখা দিচ্ছিল, একইভাবে এই রোগও স্টেরয়েডের ব্যবহারের কারণেই দেখা যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী এক-দুমাসের মধ্যেই এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের।

অন্যদিকে, কোয়েম্বাটোরে একটি সরকারি হাসপাতালে ২৬৪ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ জনের এক চোখে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গিয়েছে। মিউকরমাইকোসিসের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই সরকারেরর তরফে অতিরিক্ত ২ লক্ষ ১২ হাজার ৫৪০ ভায়াল অ্যাম্ফোটেরিন বি বরাদ্দ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘আপনার অনুপস্থিতি অনুভব করছি’, পুরনো বন্ধুর জন্মদিনে স্মৃতিমেদুর প্রধানমন্ত্রী