নয়া দিল্লি: কেউ শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছে, কেউ আবার শিকার না পেয়ে অনাহারে মরতে বসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া থেকে আনা চিতাগুলির অবস্থা করুণ। এক মাসের ব্যবধানেই পরপর তিনটি চিতার মৃত্যু হয়েছে। বিদেশ থেকে আনা একের পর এক চিতার মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে চিতার মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং চিতাগুলিকে মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যান থেকে স্থানান্তর করে রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা, সে বিষয়টি কেন্দ্রকে বিবেচনা করে দেখার পরামর্শ দেয় শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রকে জানান যে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট ও বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাগুলির থাকার জন্য় পর্যাপ্ত জায়গা নেই। সেই কারণেই কেন্দ্রকে বিদেশ থেকে আনা চিতাগুলির স্থানান্তর করার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে কেন্দ্রকে বলা হয়, “দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে পরপর তিনটি চিতার মৃত্যু যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। সংবাদমাধ্য়মে ও বিশেষজ্ঞদের নানা মত শোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, কুনোয় এত সংখ্যক চিতার বাসস্থানের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এক জায়গায় অতিরিক্ত সংখ্যক চিতা রাখা হয়েছে। আপনারা রাজস্থানে কেন চিতার বসবাসযোগ্য জায়গা খুঁজছেন না? শুধুমাত্র রাজস্থান বিরোধী দল দ্বারা শাসিত বলে আপনারা সেখানে চিতা পাঠাবেন না, এরকম হতে পারে না।”
এর জবাবে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য্য ভাটি জানান, কেন্দ্রের তরফে টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে চিতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে। অন্য জাতীয় উদ্যানেও চিতাদের স্থানান্তরিত করা যায় কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শীর্ষ আদালতের তরফে আরও বলা হয়, “বিদেশ থেকে চিতা আনা হচ্ছে, এটা ভাল বিষয়। কিন্তু তাদের সংরক্ষণেরও প্রয়োজন। তাদের বসবাসযোগ্য উপযুক্ত স্থান দিতে হবে। আপনারা অন্য কোনও জায়গা খুঁজছেন না কেন?”
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ কিডনির অসুস্থতার কারণে সাশা নামক একটি মহিলা চিতার মৃত্যু হয়। এরপরে গত ২৩ এপ্রিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা উদয় নামক আরেকটি চিতার মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাক হয়ে। এরপরে ৯ মে দক্ষ নামক আরেকটি মহিলা চিতার মৃত্যু হয় যৌন মিলনের সময় আঘাত পেয়ে।