কলকাতা : কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনের আগুন যে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে, তা স্পষ্ট। কলকাতা থেকে এবার সেই আঁচ পৌঁছবে দিল্লিতে। শহিদ মিনার চত্বরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলছে গত ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে, সেই আন্দোলনই এবার হবে দিল্লিতে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে অনুমতি মিলেছে ইতিমধ্যেই। সব ঠিক থাকলে আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসবে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের প্রতিনিধিরা। মূলত কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতেই আন্দোলন করছে সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা। অনশন আন্দোলনও করেছেন তাঁরা। তবে দিল্লির রাস্তায় এই মঞ্চের প্রতিনিধিরা ধরনায় বসলে, আন্দোলন যে আলাদা মাত্রা পাবে, তা স্পষ্ট।
জানা গিয়েছে, ৫০০ জনের বেশি আন্দোলনকারী ওই ধরনায় অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়াও কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। এই কর্মসূচির কথা আগেই জানানো হয়েছিল যৌথ মঞ্চের তরফে। এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সবুজ সঙ্কেত আসতে, বিষয়টা নিশ্চিত হল।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বাব মহার্ঘ ভাতার দাবিতে মামলা হয়েছে আগেই। হাইকোর্ট থেকে মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ১১ এপ্রিল আবার সেই মামলারও শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। ফলে ধরনায় বসলেও আদালতের রায়ের দিকেও নজর থাকবে আন্দোলনকারীদের।
কলকাতায় আন্দোলন চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে বহু রাজনৈতিক নেতাকে দেখা গিয়েছে ধরনা মঞ্চে। বিরোধী দলের নেতারা বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাজ্য সরকার কথা না শুনলে আন্দোলনের মাত্রা বাড়বে আরও, শহিদ মিনার ছাড়িয়ে পৌঁছে যাবে অনেক দূর। এবার যন্তর মন্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে আন্দোলনের উত্তাপ।
অন্যদিকে, সরকার পক্ষের বক্তব্য, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, তাই ডিএ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সরকারি কর্মীদের। সম্প্রতি ডিএ সংক্রান্ত একটি মামলায় সরকারকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।