মুম্বই : মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে উত্তেজনার পারদ এখনও সপ্তমে। এবার দলের নামকরণ নিয়ে শুরু হল দড়ি টানাটানি। প্রসঙ্গত, বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডের দাবি, মোট শিবসেনা বিধায়কের দুই তৃতীয়াংশ তাঁর কাছে রয়েছে। এবং তাঁদের নিয়ে নতুন দল গঠনের বার্তাও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা কট্টর হিন্দুত্ববাদী বালাসাহেব ঠাকরের নামেই নামাঙ্কিত হতে পারে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দলের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিদ্রোহী শিবসেনা শিবিরের নাম হতে পারে ‘শিবসেনা বালাসাহেব।’ তবে এই খবর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের কানে আসতেই নাম নিয়ে শুরু হল জোর চর্চা। দল টানাটানি এখন বদলে গেল বালাসাহেব কার সেই প্রশ্নে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই নাম তিনি রাখতে দেবেন না। এই নিয়ে উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে একটি প্রস্তাব সহ মোট ছয়টি প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
বালাসাহেবের নাম ব্যবহার করে দল গঠন রুখতে নির্বাচন কমিশনের শরণাপন্ন পর্যন্ত হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের শিবির। নির্বাচন কমিশনকে লেখা একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মনে করছি বিদ্রোহী বিধায়করা ‘শিবসেনা’ বা বালাসাহেবের নাম ব্যবহার করে একটি নতুন দল তৈরি করে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে।’ চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে যে, “আমরা একনাথ শিন্ডে ও তাঁর সহকারীদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন থেকে আটকাতে পারি না। তবে শিবসেনা বা বালাসাহেবের নাম ব্যবহার করে এই দল তৈরিকে আমরা তীব্রভাবে আপত্তি জানাই।”
প্রসঙ্গত, শনিবারই সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিধায়কের দলের নাম হতে পারে ‘শিবসেনা বালাসাহেব’। সংবাদমাধ্যমকে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক দীপক কেসরকর বলেন, ‘আমাদের দলকে বলা হবে – শিবসেনা বালাসাহেব। আমরা কোনো দলের সঙ্গে মিশে যাব না।’ এদিকে ১৬ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের আবেদন করেছিল শিবসেনা। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট অবধিও গড়ায়। যদিও সুপ্রিম কোর্টে সদস্যপদ খারিজের আবেদন করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস নেতা। তবে উদ্ধব ঠাকরে ইতিমধ্যেই বিধায়কদের নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। সোমবারের মধ্যেই জবাব দিতে হবে বিদ্রোহী বিধায়কদের। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধবের উপর চাপ সৃষ্টির জন্যই বালাসাহেবের নাম ব্যবহার করে দল তৈরির কৌশল ছকেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।