বেঙ্গালুরু: সোমবার (২ জানুয়ারি), কলেজ ক্যাম্পাসেই এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত হন এক কলেজ ছাত্রী। বুধবার, ছাত্র-ছাত্রীদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে, বেঙ্গালুরুর প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিট কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল কর্নাটক পুলিশ। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কলেজের বিটেক শাখার প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন লায়াস্মিতা। সোমবার বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে পবন কল্যাণ নামে তাঁর এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়, তাঁকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেছিলেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র বর্তমানে আতশকাচের তলে কলেজ ক্যাম্পাসগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এরই মধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করল পুলিশ।
এই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় রাজানুকুন্টে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন লায়স্মিতার মা রাজেশ্বরী দেবী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পবন কল্যাণের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। রাজানুকুন্টে থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও একটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত নিরাপত্তা না দিতে পারার অভিযোগ আনা হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে ৯৭ কিলোমিটার দূরে কোলার জেলার মুলবাগালে বাড়ি ছিল লায়াস্মিতার। মাত্র একমাস আগেই বিটেক কোর্সে ভর্তি হয়েছিল সে। কলেজের কাছেই এক বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকত। দূর সম্পর্কের আত্মীয় হলেও লায়াস্মিতাকে ভালবাসত পবন কল্যাণ। কিন্তু, তার প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল বিটেক প্রথম বর্ষের ছাত্রীটি। সেই প্রত্যাখ্যানের জ্বালা মেটাতেই লায়াস্মিতাকে ছুরিকাঘাত করেছিল পবন।
পরে পবন কল্যাণ নিজেকেও ছুরিকাঘাত করেছিল। আপাতত বেঙ্গালুরুর বোরিং এবং লেডি কার্জন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, লায়াস্মিতাকে ছুরিকাঘাত করার পরই পবন নিজের বুকে ছুরিটি বসিয়ে দেয়। তার আঘাত গুরুতর বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “ছুরির আঘাত গভীর ছিল না। আপাতত আশঙ্কামুক্ত পবন। সে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে, তবে, ও সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। ওর অবস্থা সংকটাপন্ন হলেও ও সুস্থ হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সুস্থ হয়ে উঠলেই আমরা ওকে গ্রেফতার করব।”