Shraddha Walkar Murder Case: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে বড় অগ্রগতি, পুলিশের পাওয়া চুল ও হাড়ের নমুনা মৃতারই

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jan 04, 2023 | 5:33 PM

Shraddha Walkar Murder Case: শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় বড় অগ্রগতি। দিল্লি পুলিশের উদ্ধার করা চুল এবং হাড়ের নমুনাগুলি মৃত শ্রদ্ধারই। নিশ্চিত হল ডিএনএ রিপোর্টে।

Shraddha Walkar Murder Case: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে বড় অগ্রগতি, পুলিশের পাওয়া চুল ও হাড়ের নমুনা মৃতারই
শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় বড় অগ্রগতি (ফাইল ছবি)

Follow Us

নয়া দিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় বড় অগ্রগতি। দিল্লি পুলিশের উদ্ধার করা চুল এবং হাড়ের নমুনাগুলি মৃত শ্রদ্ধারই। নিশ্চিত হল ডিএনএ রিপোর্টে। এই মামলায় আফতাব পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করা এবং তারপর দেহ ৩৫ টুকরো করার অভিযোগ রয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, হায়দরাবাদের ‘সেন্টার ফর ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং ডায়গনিস্টিক’ থেকে ডিএনএ রিপোর্ট এসে গিয়েছে। মাইট্রিকন্ড্রিয়াল ডিএনএ রিপোর্টে শ্রদ্ধা ওয়াকারের সঙ্গে, পুলিশের উদ্ধার করা চুল ও হাড়ের নমুনার মিল পাওয়া গিয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছিল, শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় দিল্লি পুলিশ মেহরাউলি বনাঞ্চল থেকে যে হাড়ের টুকরোগুলি উদ্ধার করেছিল, তার থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএ তার বাবার ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলে গিয়েছে। ওই সূত্র বলেছিল, “পুলিশ হাড়ের ডিএনএ রিপোর্ট পেয়েছে। হাড়ের ডিএনএ শ্রদ্ধা ওয়াকারের বাবার ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলে গিয়েছে।” এর আগে, দিল্লি পুলিশ শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহাংশগুলির সন্ধানে দক্ষিণ দিল্লির মেহরাউলি বনাঞ্চল এবং নয়ডার এক অঞ্চলে হানা দিয়েছিল। শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং তার দেহ ৩৫ টুকরো করার পর এই এলাকাগুলিতেই ফেলে দিয়েছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালা, এমনই সন্দেহ ছিল দিল্লি পুলিশের। মেহরাউলির জঙ্গল থেকে ১৩টি হাড়ের টুকরো উদ্ধার করেছিল পুলিশ। হাড়ের নমুনাগুলি কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছিল। এদিন ওই হাড় ও চুলের নমুনাগুলি যে শ্রদ্ধারই, সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া গেল।

২০২২ সালের শেষে, শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের বীভৎসতা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দিল্লি পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থা শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২২-এর ১৯ নভেম্বর আফতাবকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তারপরই প্রকাশ্যে এসেছিল এই নজিরবিহীন ঘটনা। ২০১৮ সালে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল শ্রদ্ধা এবং আফতাবের। পরে, ২০২২ সালের ৮ মে তারা দিল্লিতে চলে এসেছিলেন এবং একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিল আফতাব। এরপর তার দেহ ৩৫ টুকরো করে কেটে পরের ১৮ দিনে দক্ষিণ দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়েছিল।

Next Article