নয়া দিল্লি: বুধবার (৪ জানুয়ারি), জাতীয় গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন (National Green Hydrogen Mission) অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ভারতকে এই পরিশ্রুত শক্তি উৎসের অন্যতম হাব হিসেবে গড়ে তোলাই সরকারের লক্ষ্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জাতীয় গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের অনুমোদন দিয়েছে।” প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের জন্য ১৯,৭৪৪ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক ইন্টারভেনশন ফর গ্রিন হাইড্রোজেন ট্রানজিশন প্রোগ্রাম বা ‘সাইটে’র জন্য ১৭,৪৯০ কোটি টাকা, পাইলট প্রকল্পের জন্য ১,৪৬৬ কোটি টাকা, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য ৪০০ কোটি টাকা এবং এই প্রকল্পের অন্যান্য ব্যায় বাবদ ৩৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, নতুন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই নয়া প্রকল্প প্রয়োগের পরিকল্পনা করবে। এই প্রকল্পে ২০৩০ সালের মধ্যে, প্রতি বছর ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। পাশপাশি দেশে প্রায় ১২৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। অনুরাগ ঠাকুর আরও জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রকল্পে ৮ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হবে। এতে ৬ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করছে সরকার। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের ফলে বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি মূল্যের জীবাশ্ম তেল আমদানীর খরচ বাঁচবে ভারতের।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের কারণে গ্রিন হাইড্রোজেন এবং তার উপজাত পণ্য, শিল্পাঞ্চল-পরিবহণ-শক্তিক্ষেত্রে কার্বন উদ্গীরণ কম হওয়া, জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ে নির্ভরতা কম হওয়া, দেশীয় উৎপাদন দক্ষতার বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের মতো অনেক সুযোগ সুবিধা পেতে চলেছে ভারত। পাশাপাশি এই প্রকল্প গ্রিন হাইড্রোজেনের চাহিদা সৃষ্টি, উৎপাদন, ব্যবহার এবং রফতানি সহজ করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমস্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক, বিভাগ, সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের লক্ষ্যগুলি অর্জন করা নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর। সামগ্রিক সমন্বয় ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক।