নয়ডা: রাস্তার ধারে ৩১ ডিসেম্বর হাঁটছিলেন কলেজের এক ছাত্রী। রাত ৯টা নাগাদ হাঁটার সময় একটি গাড়ি পিষে দিয়ে চলে যায় তাঁকে। সেই গাড়ির ধাক্কায় আহত হন আরও কয়েক জন। যদিও ওই গাড়িকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু ওই কলেজ ছাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় এখনও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। এখনও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। দুর্ঘটনার পর থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছেন তিনি। গ্রেটার নয়ডায় বিটা ২ এলাকায় ঘটেছিল এই দুর্ঘটনা। বর্ষবরণের রাতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তিন জন পড়ুয়াকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে ঘাতক গাড়িটি। তার মধ্যে রয়েছেন এই ছাত্রী। তিনি বিটেক-এৎ চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। বিহারের বাড়ি তাঁর। তিনি পড়েন নয়ডার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। দুর্ঘটনার পর তাঁকে স্থানীয় কৈলাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর নাম সুইটি কুমারী।
গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পাশাপাশি বাঁ-পা এবং গোড়ালিও ভেঙে গিয়েছে। যদি চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন সুইটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু এখনও সংজ্ঞা ফেরেনি তাঁর।
ওই ছাত্রী পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল নয় বলে জানা গিয়েছে তাঁর সহপাঠীদের সূত্রে। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচও জোটানোর ক্ষমতা নেই তাঁদের। এ জন্য হাসপাতালের বাইরে সুইটির সহপাঠীরা তাঁর চিকিৎসার জন্য টাকাও তুলেছেন পথচারীদের কাছ থেকে। আহত ছাত্রীর মা লালমণি থাকেন পাটনায়। সেখান থেকে তিনি বলেছেন, “চিকিৎসকরা বলেছেন আমার মেয়ের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। এর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আমরা শ্রমিকের কাজ করি। আমাদের মেয়ে পড়শোনায় খুব ভাল।”
ঘটনা নিয়ে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার দীনেশ কুমার সিং বলেছেন, “আমরা ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি। এবং কোনও সূত্রে খোঁজার চেষ্টা করছি। ওই গাড়ির খোঁজ চালানোর জন্য পুলিশের তিনটি দল তল্লাশি চালাচ্ছে।”