নয়া দিল্লি: বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India)। বুধবার এ কথা জানাল শীর্ষ আদালত। বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ জন দোষীদের জেলমুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যৌথ আবেদন করেছিলেন সিপিএম নেতা সুভাষিণী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাউল ও লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপরেখা বর্মা এবং এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আলাদা করে আবেদন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তাঁদের এই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হবে বিচারপতি অজয় রস্তোগি ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি রাস্তোগি জানিয়েছেন, বিলকিস বানো যেহেতু নিজে এই সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন তাহলে তাঁর আবেদনটি প্রাধান্য দিয়ে দেখা হবে।প্রসঙ্গত, বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে তাদের সাজার মেয়াদে সম্পূর্ণ আগেই জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার। মওকুফ নীতির অধীনে গত বছর ১৫ অগস্টই জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন বহু সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। আবেদন করেন বিলকিস বানোও। গত ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানির কথা ছিল। তবে শুনানির দিন এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চান বিচারপতি ত্রিবেদী। তিনি বলেছিলেন, “এমন এক বেঞ্চে এই মামলা তালিকাভুক্ত করুন যেখানে আমি সেই বেঞ্চের সদস্য নই।” সেই সময় নিজেকে এই মামলা থেকে সরিয়ে নেওয়ার কোনও কারণও ব্যক্তি করেননি তিনি।
এই মামলায় সিপিএম নেতা সুভাষিণী আলি, রেবতী লাউল ও রূপরেখা বর্মার আবেদন এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের করা আবেদন সহ একাধিক আবেদনের ভিত্তিতে আজ বিচারপতি অজয় রস্তোগি ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে শুনানি হচ্ছিল। এই শুনানি চলাকালীন রাস্তোগি বলেছেন, দোষীদের মেয়াদের আগে মুক্তি নিয়ে বিলকিস বানো নিজে আবেদন করেছেন এবং তা প্রাধান্য দিয়ে দেখা হবে। বিলকিস বানোর আবেদনের বিষয়ে এদিন বিচারপতি রাস্তোগি আইনজীবীদের বলেন, “এখন যেহেতু ধর্ষিতা নিজে এখানে আবেদন করেছেন… আমরা তাঁর বিষয়টিকে মূল বিষয়ে হিসেবে দেখব। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী সদস্য নন এমন কোনও বেঞ্চে এই মামলা তালিকাভুক্ত করুন।” এর আগে বিলকিস বানোর আবেদনের শুনানির সময়ও একই কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি রাস্তোগি। এ দিন বাকি আবেদনকারীদের আবেদনের ভিত্তিতেও শুনানি হয়নি সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চে। অর্থাৎ, বিলকিস বানো মামলায় অন্য কোনও বেঞ্চে আবেদন তালিকাভুক্ত করতে হবে বলেই জানানো হয়েছে।