আগ্রা: রাতে বারবার বেজে উঠছিল ফোন। চেনা নম্বর দেখে মহিলা চিকিৎকরে গলা যেন শুকিয়ে গিয়েছে। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ভয়ে ভয়ে ফোনটা ধরেই ফেললেন। যা ভেবেছিলেন ঠিক তাই, আবার সেই হুমকি। টাকা দিতে হবে, পাঁচ লক্ষ টাকা। টাকা না দিলে কপালে নাচছে ভয়াবহ বিপদ। সমাজে হতে পারে মারাত্মক সম্মানহানি। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেশ সাহস করেই পুলিশের দ্বারস্থ হলেন চিকিৎসক। মহিলা চিকিৎসকের থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে আগ্রা পুলিশ। চিকিৎসক যে অভিযোগ এনেছেন তাতে রীতিমতো চিন্তায় প্রশাসন। ৪০ বছর বয়সী ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, একজন খুনের আসামি ও পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। ওই মহিলা চিকিৎসকের একটি নিজস্ব নার্সিং হোম রয়েছে। তিনি ও তাঁর স্বামী মিলে ওই নার্সিং হোম চালান।
ওই মহিলা চিকিৎসক পুলিশকে জানিয়েছেন, ফতেহগঢ় সেন্ট্রাল জেলে বন্দি খুনের আসামি সুধীর কুমার সিং ভাদুরিয়া ও তাঁর পরিবারে সদস্যরা ফোন করে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছেন। এই ধরনের হুমকি বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁকে দেওয়া হচ্ছে। মহিলা জানিয়েছেন, ফোন করে তাঁকে বলা হয়েছে তিনি যদি তাদের নগদ ৫ লক্ষ টাকা দিতে অপারগ হন তবে ওই চিকিৎসকের আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। মহিলার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, জেলে বন্দি সুধীরের ভাই মহেশ কুমার সিং ও ওই মহিলা চিকিৎসক প্রতিবেশি। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন “২০১৮ সালে মহেশ ওই মহিলা চিকিৎসকরে তাঁর বাড়িতে একটি পার্টিতে ডেকেছিলেন। মহিলাকে খেতে দেওয়া পানীয়ের মধ্য মাদক মিশিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। পানীয় খেয়ে মহিলা চিকিৎসর অচৈতন্য হয়ে পড়লে তারা বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি তুলে নিয়ে উঠেছিলেন মহেশ। সেই ছবি গুলিকে কাজে লাগিয়েই মহিলাকে ব্ল্যাকমেইলকে বড়সড় টাকা আদায় করে নিতে চাইছেন ওই ব্যক্তি।”
আরও পড়ুন Woman Abuse: স্বামীর অমত সত্ত্বেও বিজেপিকে ভোট গৃহবধুর! পরিণতি দেখে বাধ্য হয়ে নাক গলাল মহিলা কমিশন