নয়া দিল্লি: ১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন (Monsoon Session of Parliament)। তার আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)-র বাড়িতে হাজির হলেন মোদী সরকারের ২৯ জন মন্ত্রী। তবে এটি কোনও সরকারি বৈঠক নয়, সম্পূর্ণরূপেই দলীয় প্রস্তুতি যাচাইয়ের জন্য জরুরি তলব করা হয়েছিল বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় একটাই, বাদল অধিবেশনের প্রস্তুতি।
বাজেট অধিবেশনের পরই দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। একাধিক রাজ্যে নির্বাচন থাকায় সাংসদদের অনুপস্থিতি ও করোনার ভয়েই নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাজেট অধিবেশনে রাশ টানতে হয়। ১৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনটি ফলপ্রদ করাই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। এর জন্য আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। মঙ্গলবারও একই উদ্দেশ্যে রাজনাথ সিংয়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেন ২৯ জন মন্ত্রী।সঙ্গে ছিলেন একাধিক বিজেপি নেতাও। সেখানে অধিবেশন চলাকালীন কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে, তা নিয়ে নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করেন বলেই সূত্রের খবর।
সূত্র অনুযায়ী, মোদী সরকারের লক্ষ্য, এ বারের বাদল অধিবেশনে সমস্ত প্রতিমন্ত্রীও যেন অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত থাকেন এবং নিজেদের মন্ত্রকের কার্যকলাপ নিয়ে বিরোধীদের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেন। এরজন্য তাদের বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তাও দেওয়া হয় গতকালের বৈঠকে।
জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দর যাদব, মুখতার আব্বাস নকভি, প্রহ্লাদ যোশী প্রমুখ। বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের সকল প্রশ্নের জবাব কীভাবে দেওয়া হবে এবং প্রতিটি মন্ত্রকের বিষয়ে যেন পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই বৈঠক। লোকসভায় ১৭টি নতুন বিল পাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্যসভাতেও প্রায় একই সংখ্যক বিল পাশ করার প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতবারের বাদল অধিবেশনও করোনাকালেই হয়েছিল। একাধিক সাংসদ, বিধায়করা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অধিবেশনের মেয়াদও সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছিল। তবে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল জিরো আওয়ারে বর্তব্য পেশ করা নিয়ে। অভিযোগ উঠেছিল, বিরোধীদের কন্ঠরোধ রকার চেষ্টা করছে শাসক দল। এ বারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা বিরোধীদের। যদিও বৈঠকে বিরোধীদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন: ‘জোর করে চাপিয়ে দিয়ে কোনও লাভ নেই’, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ভিন্ন অবস্থান নীতীশ কুমারের দলের