‘জোর করে চাপিয়ে দিয়ে কোনও লাভ নেই’, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ভিন্ন অবস্থান নীতীশ কুমারের দলের

Bihar on Population Control Bill: মঙ্গলবারই কেসি ত্যাগী জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কেবল মুসলিমদের দোষারোপ করা উচিত নয়।

'জোর করে চাপিয়ে দিয়ে কোনও লাভ নেই', জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ভিন্ন অবস্থান নীতীশ কুমারের দলের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2021 | 7:28 AM

পটনা: অসম, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে যখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে নতুন আইন, সেই সময়ই সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থান বিহার সরকারের। সাধারণ মানুষের উপর জোর-জবরদস্তি করেই আইন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেডি(ইউ)-র প্রবীণ নেতা কেসি ত্যাগী। গতবছরই কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টের হলফনামায় বিগত ১০০ বছরে প্রথমবার জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছিল, সে কথাও উল্লেখ করে তিনি  বলেন, এভাবে জোর করে আলাদা কোনও আইন চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

সোমবারই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছিলেন, জোর করে আইন চাপিয়ে দিলেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। চিন এর সবথেকে বড় উদাহরণ। মহিলাদের শিক্ষর উপরই গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে, কারণ দেখা গিয়েছে, যে পরিবারের মহিলারা শিক্ষিত, সেই পরিবারে সদস্য সংখ্যা কম।

মঙ্গলবার সেই সুরেই কেসি ত্যাগীও জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কেবল মুসলিমদের দোষারোপ করা উচিত নয়। তিনি বলেন, “প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি তাঁর বইতে বলেছিলেন যে কেবলমাত্র লাক্ষাদ্বীপেই জনসংখ্যা ১০০ শতাংশ মুসলিম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কেরল ও শ্রীনগরে মাত্র ১.৪ শতাংশ ও উত্তর প্রদেশে ২.৪ শতাংশ জনসংখ্যা মুসলিম  দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।” জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি হলেও তা জোর করে বা আইন চাপিয়ে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলেই মত জেডি(ইউ) নেতার। আরও পড়ুন: মুম্বই যেতে আর লাগবে না করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট, পূরণ করতে হবে শুধু এই শর্ত…

সম্প্রতিই অসমের জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য তিনি রাজ্যের মুসলিম বাসিন্দাদেরই দায়ী করেন। অন্য দিকে, অসমের পর উত্তর প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রীও পুরস্কার ও সরকারি সুবিধার প্রস্তাব দেন প্রস্তাবিত নয়া জনসংখ্য়া নিয়ন্ত্রণ বিলে।