নয়া দিল্লি: ৪০ হাজারের গণ্ডিতেই আটকে রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। একাধিক রাজ্য়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও। এই পরিস্থিতিতে কঠোর “কন্টেনমেন্ট স্ট্রাটেজি” গ্রহণের প্রয়োজন বলেই জানালেন এইমস প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। শনিবার তিনি বলেন, “দেশে আর ভ্যালু ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ।”
আর ফ্যাক্টরের মাধ্যমে সংক্রমণ কোন গতিতে এগোচ্ছে, তা বোঝা যায়। অন্যদিকে, আর ভ্য়ালুর মাধ্যমে একজন করোনা আক্রান্তের থেকে আরও কতজন সংক্রমিত হতে পারে, তা জানা যায়। ডঃ গুলেরিয়া বলেন, “০.৯৬ থেকে আর ভ্যালু বর্তমানে ১-এ পৌঁছেছে। অর্থাৎ একজন করোনা আক্রান্তের থেকে বাকিদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যে সমস্ত অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা উচিত এবং টেস্ট, ট্রাক ও ট্রিট-এই নীতি অনুসরণ করা উচিত সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে।”
শনিবারই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ৪৬টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি কেরল ও উত্তর পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যে। অন্যদিকে, আমেরিকার সিডিসির তরফেও এই সপ্তাহেই জানানো হয়েছে যে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট করোনার বাকি ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় অধিক ভয়াবহ ও চিকেন পক্স বা গুটি বসন্তের মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করে এইমস প্রধান বলেন, “চিকেন পক্স বা হামের ক্ষেত্রে আর ফ্যাক্টর ৮ বা তার বেশি থাকত। এর অর্থ হল একজন আক্রান্তের থেকে আরও ৮জন আক্রান্ত হতে পারেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, পরিবারের একজন করোনা আক্রান্ত হলে গোটা পরিবারই সংক্রমিত হচ্ছেন। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রেও এই ঘটনাই ঘটে। একইভাবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে একজন আক্রান্ত হলে, তাঁর গোটা পরিবারেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।”
কেরল থেকেই দেশের ৫০ শতাংশ সংক্রমিতের খোঁজ মেলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেন হঠাৎ সংক্রমণ বাড়ছে, তা জানা উচিত। করোনা সংক্রমণের শুরুতে দেখা গিয়েছিল, কেরল দারুণভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করছেন। বর্তমানে দ্রুতগতিতে টিকাকরণও চলছে। তারপরও দেশের বাকি অংশের তুলনায় সেখানে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুতগতিতে। এর কারণ জানতেই হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কীধরনের পরিকল্পনা অনুসরণ করা হচ্ছে, নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের হাত রয়েছে কিনা, এই বিষয়গুলি জানার প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতেও কড়া বিধিনিষেধ ও পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো উচিত সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে।”