মুম্বই: জমে উঠেছে এনসিপি বনাম এনসিপির লড়াই। কাকা-ভাইপোর লড়াই এবার নির্বাচন কমিশনে পৌঁছেছে। বুধবারের শক্তি প্রদর্শন বৈঠকে একদিকে যেমন এনসিপির অজিত পওয়ারের শিবির নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলের নাম ও প্রতীকের উপরে নিজেদের অধিকার দাবি করেছেন। সেখানেই শরদ পওয়ার দিল্লিতে যাচ্ছেন এনসিপির ন্যাশনাল এগজেকিউটিভ কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে। গতকালের বৈঠকেই নিজের শিবিরের বিধায়কদের দিয়ে হলফনামায় সাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন অজিত পওয়ার। এরপরও তিনি ভরসা করতে পারছেন না বিধায়কদের উপরে। জানা গিয়েছে, অজিত পওয়ারের শিবিরের বিধায়কদের মুম্বইয়ের একটি হোটেলে নিয়ে রাখা হয়েছে।
এ দিন সকালেই মুম্বই থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা, প্রবীণ নেতা শরদ পওয়ার। জানা গিয়েছে, আজ দুপুর তিনটেয় দিল্লিতে এনসিপির ন্যাশনাল এগজেকিউটিভ কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকেই যোগ দিতে যাচ্ছেন শরদ পওয়ার। সূত্রের খবর, দলের কর্তৃত্ব ও প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অজিত পওয়ারের শিবির যে আবেদন জানিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে এনসিপির ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট সুপ্রিয়া সুলেও যোগ দেবেন।
অন্যদিকে, গতকালই এনসিপির অজিত পওয়ার শিবিরের নেতাদের দিয়ে এফিডেভিট বা হলফনামায় সাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও আশ্বস্ত হতে পারছেন না মহারাষ্ট্রের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই বিধায়কদের মুম্বইয়ের একটি হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার মুম্বইয়ে এনসিপির দুই শিবিরের যে বৈঠক হয়, তাতে অজিত পওয়ারের বৈঠকে এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৩২ জন যোগ দিয়েছিলেন। শরদ পওয়ারের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মাত্র ১৪ জন বিধায়ক।