নয়াদিল্লি: সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর অভিযুক্ত ললিত ঝাঁ এখনও পলাতক। এই ঘটনায় উঠে আসা ৬ অভিযুক্তই সোশ্যাল মিডিয়া পেজের সঙ্গে জড়িত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ‘ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব’ নামের সেই ফেসবুক পেজ রয়েছেন সকলেই। এমনকি ৬ অভিযুক্ত গত দেড় বছর আগেই দেখা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মাইশুরুতে বছর দেড়েক আগে দেখা করেছিলেন তাঁরা। তার পর থেকেই সংসদে ঢুকে গোলমাল পাকানোর পরিকল্পনা শুরু হয় বলে মনে করছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমেই এই পরিকল্পনা হয়েছিল বলে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। প্রত্যেকে নিজের নিজের রাজ্য থেকে ১০ ডিসেম্বর এসে পৌঁছন দিল্লিতে। তার পর ইন্ডিয়া গেটের কাছে দেখা করেন সকলে। সেখানেই সকলের মধ্যে স্মোক বম্ব বিতরণ করা হয়। এর পর বুধবার সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি ঢুকেছিল সংসদের অন্দরে। সেখানেই তাঁদের ছোড়া স্মোক বম্বে হলুদ ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা। অপর ধৃত নীলম আজাদ এবং অমল শিণ্ডেকে সংসদের বাইরে থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার ভিডিয়ো করা ললিত ঝাঁও অন্যতম অভিযুক্ত। যদিও তিনি এখনও পলাতক। তাঁর সঙ্গে কলকাতার এক যুবকের যোগের কথাও উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে। নীলাক্ষ আইচ নামের কলকাতার ওই যুবককে সংসদের ঘটনার ভিডিয়ো হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম বার পাঠিয়েছলেন ললিত।
এই ঘটনার পিছনে কোনও নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশি জেরায়, অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, কাজের অভাব, বেকারত্ব নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন তাঁরা। সেই প্রতিবাদেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ধৃতদের প্রত্যেকেই বিভিন্ন আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে উঠে আসা। আর ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব পেজ থেকে পরিচয়ের পরই এই ঘটনার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজধানীর অন্দরে।