নয়া দিল্লি: ১৮ বছরের বেশি বয়স হলেই মিলবে করোনা প্রতিষেধক। আগামী পয়লা মে থেকেই বলবৎ হচ্ছে এই নতুন নিয়ম। এতদিন পর্যন্ত স্রেফ ৪৫ ঊর্ধ্বরা করোনা টিকা নেওয়ার জন্য অনুমতি পেতেন। কিন্তু কার্যত বয়সবিধি তুলে নিয়ে প্রত্যেকের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার পথে হাঁটল কেন্দ্র। কিন্তু এই নির্দেশিকার পর সাধারণ মানুষের মনে একাধিক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তৃতীয় দফার টিকাকরণের সব তথ্য…
১. এ বার থেকে খোলা বাজারে মিলবে ভ্যাকসিন।
২. ভ্য়াকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা যত সংখ্যক প্রতিষেধক উৎপাদন করবে তার ৫০ শতাংশ তুলে দিতে হবে কেন্দ্র সরকারের হাতে। বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকার বা খোলা বাজারে তারা বিক্রি করতে পারবে।
৩.খোলা বাজার ও রাজ্য সরকারকে যে দামে উৎপাদনকারীরা ভ্যাকসিন দেবে তা আগে জানাতে হবে।
৪.সরাসরি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারবে রাজ্য সরকার।
৫.কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে বিনামূল্যেই মিলবে করোনা টিকা। তবে তা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির যোদ্ধা ও ৪৫ ঊর্ধ্বদের জন্যই।
৬. ভ্যাকসিনের ডোজ় দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে যাঁরা ইতিমধ্যে প্রথম ডোজ় পেয়ে আছেন তাঁদের।
প্রধানমন্ত্রী এ দিন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত। নরেন্দ্র মোদী বলেন, “সরকার বিগত ১ বছর ধরে সেই কাজ করছে যাতে অতি দ্রুত সকল ভারতীয়কে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যায়।” সেই সঙ্গে এ বার থেকে খোলা বাজারেও মিলবে করোনা টিকা। তবে দেশ জুড়ে বারবার যেভাবে ভ্য়াকসিনের ঘাটতির কথা প্রকাশ্যে আসছে, সেখানে সকলকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ১৮ বছরের বেশি বয়স হলেই মিলবে ভ্যাকসিন, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের