All Party Meeting: শীতকালীন অধিবেশনের আগেই আজ সংসদে সর্বদল বৈঠক, থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
All Party Meet: সোমবার সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনেই কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের কৃষি দফতরের মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সংসদে বিলটি পেশ করবেন।
নয়া দিল্লি: গুরু নানক জন্মজয়ন্তী দিন বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। জাতির উদ্দেশে দিয়া দেওয়া ভাষণে কৃষকদেরকে মাঠে ফেরার অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন সংসদের আগামী অধিবেশনে, নিয়মমাফিক প্রত্যাহার করা হবে কৃষি আইন। আগামীকাল, ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগেই আজ হতে চলেছে সর্বদল বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
মনে করা হচ্ছে, শীতকালীন অধিবেশনের আগে হতে চলা এই সর্বদল বৈঠকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের পাশাপাশি কৃষকদের অন্যান্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে। রবিবার সকাল ১১ টা থেকে শুরু হবে সর্বদল বৈঠক। বৈঠকে কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি নিয়েও অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
সোমবার সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনেই কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের কৃষি দফতরের মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সংসদে বিলটি পেশ করবেন। শাসক বিজেপি ও বিরোধী কংগ্রেস, দলের সব সাংসদকে, অধিবেশনের প্রথম দিনে লোকসভায় হাজির থাকতে হুইপ জারি করেছে।
সর্বদল বৈঠক এর পাশাপাশি আজ বেলা তিনটার সময়, এনডিএ -র সকল শরিক দলের মধ্যে আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিন, সংসদ অভিযানের ডাক দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলির। কিন্তু নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার পর সাময়িকভাবে তারা সংসদ অভিযান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর, গুরু নানক জন্ম জয়ন্তীর দিন, খানিক আকস্মিকভাবেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের (Repealing Farm Laws) কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও কৃষকদের মন গলেনি, সংসদে আইন বাতিলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া অবধি তারা যে পিছু হঠতে রাজি নয় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন কৃষকরা। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর বিবৃতি প্রকাশ করে কৃষক সংগঠনগুলির প্রধান সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছিল, সরকারের এই সিদ্ধান্তে তাঁরা স্বাগত জানালেনও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবি নিয়ে তাঁরা অনড় এবং এই বিষয়ে কেন্দ্রকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত আংশিক জয় হিসেবেই দেখেছিল কৃষক সংগঠন গুলি
শুধুমাত্র কৃষি আইন প্রত্যাহার নয়, আরও বেশ কয়েকটি ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে পারে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সম্প্রতি বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই সেই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে বিরোধী দলগুলি। পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে নিজের নিজের দ্বিমতের কথা জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই ইস্যুতেও কেন্দ্রের শাসক দলকে আক্রমণ করতে পারে বিরোধীরা।