Sterilization: নির্বীজকরণের পরও বার বার গর্ভবতী! কীভাবে? কার গাফিলতির খেসারত মহিলার?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 12, 2023 | 5:51 PM

Sterilization in Bihar: এক মহিলার নির্বীজকরণ হয়ে যাওয়ার পরেও গর্ভবতী হয়ে পড়ছেন তিনি। একবার নয়, দু'বারও নয়... এই নিয়ে তিন বার গর্ভবতী হয়ে পড়লেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলায়। নির্বীজকরণের অপারেশনে এমন বড়সড় গাফিলতি ঘটল কীভাবে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিহারের স্বাস্থ্য মহলে।

Sterilization: নির্বীজকরণের পরও বার বার গর্ভবতী! কীভাবে? কার গাফিলতির খেসারত মহিলার?
গর্ভবতী মহিলা (প্রতীকী ছবি)
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

পটনা: নদিয়ায় নির্বীজকরণ কাণ্ডে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। কোভিড টিকাকরণের নামে সম্মতি ছাড়াই এক ব্যক্তির নির্বীজকরণের অভিযোগ উঠে এসেছে। এসবের মধ্যেই এবার ভয়ঙ্কর অভিযোগ পড়শি রাজ্যে। এক মহিলার নির্বীজকরণ হয়ে যাওয়ার পরেও গর্ভবতী হয়ে পড়ছেন তিনি। একবার নয়, দু’বারও নয়… এই নিয়ে তিন বার গর্ভবতী হয়ে পড়লেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলায়। নির্বীজকরণের অপারেশনে এমন বড়সড় গাফিলতি ঘটল কীভাবে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিহারের স্বাস্থ্য মহলে।

ওই মহিলার বাড়ি মুজফ্ফরপুর জেলার গাইঘাট এলাকায়। প্রায় বিশ বছর হল তাঁর বিয়ে হয়েছে। স্বামী দিনমজুরের কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালান। বিয়ের পর চার সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নির্বীজকরণের সিদ্ধান্ত নেন মহিলা। ২০১৫ সালে গাইঘাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নির্বীজকরণের অপারেশনও করান তিনি। কিন্তু এরপরও গর্ভে সন্তান আসা থামেনি। নির্বীজকরণের পরও দুই সন্তানের জন্ম দিয়ে ফেলেছেন তিনি। তৃতীয় সন্তান গর্ভে। এই অবস্থায় এখন তাঁকে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে সদর হাসপাতালে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সিভিল সার্জেন ও জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। নির্বীজকরণের অপারেশনে এই ভয়ঙ্কর গাফিলতির কথা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে বিহারে। নড়েচড়ে বসেছে সেখানকার স্বাস্থ্য দফতরও।

২০১৫ সালের নির্বীজকরণের অপারেশন। তারপরও ২০১৮ সালে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর ২০২০ সালে আবার এক কন্যা সন্তান। আর এখন ২০২৩ সালে আবার তাঁর গর্ভে সন্তান এসেছে। দরিদ্র, দিন আনা-দিন খাওয়া পরিবারে কীভাবে সাত সন্তানকে বড় করবেন, কী খাওয়াবেন, তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছেন না ওই দম্পতি ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা।

নির্বীজকরণের তিন বছর পরই যখন তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন, তখনই পরিবারের তরফে সিভিল সার্জেনকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সেই সময় অভিযোগের ভিত্তিতে সিভিল সার্জেন একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই তদন্ত চলাকালীনই ২০১৮ সালে ও ২০২০ সালে দুই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এসবের মধ্যেই আবার গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন মহিলা। বার বার কেন এমন ঘটনা ঘটছে, তা ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।

মহিলার স্বামী জানাচ্ছেন, অপারেশনের পরও যখন প্রথম সন্তানের জন্ম হয়েছিল, তখন জেলাশাসক তদন্ত করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জেন চিকিৎসক রেহান আশরাফের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি অবশ্য বলছেন, তাঁর সময়কালে এই নির্বীজকরণের ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক রেহান আশরাফ।

Next Article